Raniganj: রানিগঞ্জে বিস্তীর্ণ এলাকায় মাটিতে ফাটল, ধোঁয়া বেরোচ্ছে অনর্গল...
ডুবছে যোশীমঠ, বিপদ রানিগঞ্জেও। 'পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জক। ধস নামলে ২০ হাজার মানুষ মরে যেতে পারে যদি আমরা ঘর না বানিয়ে দিই'। মঙ্গলবার একথা বলেছিলেন মু্খ্যমন্ত্রী।
বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: 'জোশীমঠের মতো পরিস্থিতি রানিগঞ্জেও'। খনি অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় মাটিতে ফাটল, ধোঁয়া বেরোচ্ছে অনর্গল! ECL আধিকারিকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাড়ছে আতঙ্ক।
ডুবছে যোশীমঠ, বিপদ রানিগঞ্জেও। আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল, মঙ্গলবার তিনি বলেছিলেন, ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতি জোশীমঠে। আগে বন্দোবস্ত করলে এই দিন দেখতে হত না। একই অবস্থা রানিগঞ্জে। গত ১০ বছর ধরে এটা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আমরা লড়াই করছি। যে টাকা দেওয়ার কথা ছিল, কিছুই দেয়নি। ধস নামলে ২০ হাজার মানুষ মরে যেতে পারে যদি আমরা ঘর না বানিয়ে দিই। আজ পর্যন্ত টাকা দিল না। আমাদের যা ছিল তা দিয়েই বানিয়েছিল। কিন্তু আরও টাকা লাগবে। অন্তত ৩০ হাজার মানুষ প্রভাবিত হতে পারেন'।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অবৈধ খনন বন্ধ হয়নি এখনও। বাড়িতে যখন তখন ফাটল দেখা দিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গা মাটি সরে গিয়ে বেরোচ্ছে বিষাক্ত মিথেন গ্যাস! পরিস্থিতি এমনই যে, ওই এলাকায় মানুষের যাতায়াত কার্যত বন্ধ। 'বিপজ্জনক' লেখা বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে পুলিস। এদিন সকালে যখন পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে যান ECL আধিকারিকরা, তখন তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।
২০০৩ সালে রানিগঞ্জের খনি এলাকার বাসিন্দাদের পুর্নবাসনের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেইমতো এলাকায় সমীক্ষা করা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ঘর পেয়েছেন মাত্র ১৪৫ জন! কেন? সূত্রের খবর, ইসিএলের কাছ থেকে ৫৭০ কোটি টাকা পেয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ। এমনকী, সেই টাকা ১২ হাজার ঘর তৈরিও হয়ে গিয়েছে। তাহলে? খনি এলাকায় যাঁরা থাকেন, তাঁদের অনেকেই নাকি জমির দাম চাইছেন! ফলে তাঁদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে।
এদিকে রানিগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, 'মানুষের তৈরি করা বিপদ। কেন্দ্র কি করবে? কয়লা চুরির জন্য তো মোদীজি দায়ি নন'। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের পাল্টা দাবি, 'কেন্দ্রীয় প্রকল্প যেভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যেভাবে বহুতল অট্টালিকা তৈরি হচ্ছে, সেটা ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর। কোলিয়ারি নিরাপত্তার দায়িত্ব CISF-র। তাদের সার্বিক ব্যর্থতা জন্য এটা হচ্ছে'।