পশ্চিমবঙ্গে টানা ২৪ ঘণ্টা বর্ষণের সম্ভাবনা, জেনে নিন এরাজ্যে কী প্রভাব ফেলতে পারে ঘূর্ণিঝড় ফণি
তবে ঘূর্ণিঝড় ফণি ঠিক কোথায় আঘাত হানবে তা নিয়ে এখনো নিশ্চিত নন আবহবিদরা। আবহবিদদের একাংশের মতে ৪ মে তামিলনাড়ু বা অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। অন্য অংশের মতে ৬ মে চট্টগ্রামের কাছে ভূভাগে প্রবেশ করবে ঝড়টি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হল ঘূর্ণিঝড় ফণি। শনিবার সেটি শক্তিবৃদ্ধি করে গভীর নিম্নচাপ থেকে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। তবে এই ঘূর্ণিঝড় কোথায় আঘাত হানবে তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। তবে যেখানেই আঘাত হানুক না কেন, প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে তা আছড়ে পড়বে বলে নিশ্চিত সবাই।
আবহাওয়া সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭০ - ৮৫ কিলোমিটার। যা ক্রমশ অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে চলেছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়টি প্রচণ্ড শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে একপ্রকাশ নিশ্চিত আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।
তবে ঘূর্ণিঝড় ফণি ঠিক কোথায় আঘাত হানবে তা নিয়ে এখনো নিশ্চিত নন আবহবিদরা। আবহবিদদের একাংশের মতে ৪ মে তামিলনাড়ু বা অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। অন্য অংশের মতে ৬ মে চট্টগ্রামের কাছে ভূভাগে প্রবেশ করবে ঝড়টি।
তবে ফণি যেখানেই আঘাত হানুক না কেন, আগামী সপ্তাহের শেষে দুর্যোগে ভাসতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ। ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রামে আঘাত হানলে তা আগামী ৫ মে বয়ে যাবে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের খুব কাছ দিয়ে। কলকাতা থেকে ২০০-২৫০ কিলোমিটার দূর দিয়ে যাবে ঝড়ের কেন্দ্রটি। সেক্ষেত্রে শুক্রবার রাত থেকে কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে শুরু হতে পারে ঝড়বৃষ্টি। যা চলতে পারে রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে সাগর ও বকখালিতে ঝড়ের তেজ টের পাওয়া যাবে।
দক্ষিণবঙ্গজুড়ে জারি তাপপ্রবাহ, শনিবার মরশুমের উষ্ণতম দিনে পুড়ল কলকাতা
ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্রউপকূল দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করলেও নিস্তার নেই দক্ষিণবঙ্গের। সেক্ষেত্রে ভূভাগে প্রবেশের পর উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিতে পারে তার গতিমুখ। গভীর নিন্মচাপ বা নিম্নচাপ রূপে ঝড়টি প্রবেশ করবে দক্ষিণবঙ্গে। যার ফলে আগামী ৫ মে দুপুর থেকে ৬ মে দুপুর পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। ওই দিন দক্ষিণবঙ্গের বনগাঁ, বারাকপুর, হাওড়া, শ্রীরামপুর, উলুবেড়িয়া, হুগলি, আরামবাগ কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণ শুরুর পরও বৃষ্টি হতে পারে প্রতিটি কেন্দ্রে। ভোটগ্রহণের আগের দিন ও গোটা রাত বৃষ্টি হওয়ায় কোথাও কোথাও ভিজতে হতে পারে ভোটকর্মীদের। তবে আশার কথা ৬ মে বেলা যত বাড়বে উন্নতি হবে আবহাওয়ার।
ঘূর্ণিঝড় চলে গেলে দক্ষিণবঙ্গে ফের চড়বে পারদ। বায়ুমণ্ডলে থাকা আর্দ্রতা ঘূর্ণিঝড় শোষণ করে নিয়ে যাওয়ায় কমবে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা।