করোনা আক্রান্ত ছেলে ও বৌমা, ১১ ঘণ্টা ধরে বাড়িতেই পড়ে অশীতিপর শ্বশুরের মৃতদেহ
দু দিনে আগেই মৃত বৃদ্ধের পরিবারে এক ছেলে ও তাঁর স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তারপরই মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধের
নিজস্ব প্রতিবেদন: মৃত্যু হয়েছে সকাল ৬টা নাগাদ। সেই থেকে টানা ১১ ঘণ্টা পড়ে রইল দেহ। কোভিড আক্রান্ত সন্দেহে দুর্গাপুর থানা এলাকার ফরিদপুর গ্রামে অশীতিপর বৃদ্ধের দেহ এভাবেই পড়ে রইল। বিকেলে কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট আসতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
দু দিনে আগেই মৃত বৃদ্ধের পরিবারে এক ছেলে ও তাঁর স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তারপরই মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধের। পরিবারের দাবি, বয়স জনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরিবারে সদস্যদের করোনা হওয়ায় দেহ তুলতে সাহস পাচ্ছিলেন না কেউ। এরপরই ওই বৃদ্ধের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
আরও পড়ুন- করোনায় মিউজিক থেরাপি! মনের জোর বাড়াতে ওয়ার্ডের ভিতর গানের সঙ্গে নাচছেন রোগীরা
পরিবারের বাকিদের কোভিড পরীক্ষা করানো হলেও এখনও রিপোর্ট না আসায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তাই প্রশাসন থেকে মৃতদেহকে পরিবারের পক্ষ থেকে হাত না দিতে মানা করা হয়। এলাকায় এই পরিবারের দুই সদস্যের কোভিড পজিটিভ পাওয়া যাওয়ায় এমনিতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পরিবারের এক জন মারা যাওয়ায় আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। চলছে এলাকায় স্যানিটাইজ । এলাকাবাসীদের আবেদন এই এলাকা কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হোক।
দুর্গাপুর নগর নিগমের স্বাস্থ্য দফতরের এম আই সি রাখি তিওয়ারি বক্তব্য, রিপোর্ট আসতে দেরি হওয়ায় একটু সমস্যা হয়েছে। তবে এলাকায় স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করার ব্যাপারে মহকুমা শাসককে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।