Canning: আবাস যোজনার তথ্য সংগ্রহ করতেন, মাঠ থেকে মিলল মহিলা তৃণমূল কর্মীর গলাকাটা দেহ
নিহতের ছেলের দাবি, গতকালও এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবাস যোজনার তথ্য সংগ্রহ করেছেন। সন্ধেয় আলু জমিতে জল দিতে যান। সেখানেই কেউ তাকে কুপিয়ে চলে গিয়েছে। আবাস যোজনার তথ্য সংগ্রহ নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে একটা ক্ষোভ ছিল
প্রসেনজিত্ সরদার: মাঠ থেকে উদ্ধার তৃণমূল কর্মীর গলাকাটা দেহ। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়াল ক্যানিংয়ের গোপালপুর এলাকায়। পরিবারের দাবি, ঘটনার সঙ্গে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। এনিয়ে সিবিআই তদন্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন-সোমবার থেকে নামবে পারদ, শীতের বিদায় কবে জানিয়ে দিল হওয়া অফিস
শনিবার সন্ধেয় তৃণমূল কর্মী সুচিত্রা মণ্ডলের গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয় মাঠ থেকে। এদিন সন্ধেয় মাঠে আলুর জমিতে জল দিতে আসেন সুচিত্রা। বহুক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পরও তিনি ফিরছেন না দেখে তাঁকে খুজতে বের হয় তাঁর ছেলে। শেষপর্যন্ত তিনি দেখেন তাদের জমির কাছে পড়ে রয়েছে মায়ের গলাকাটা লাশ। ছেলের দাবি, তার মা তৃণমূল করতো। ওই খুনের পেছনে দলের কর্মীদের হাত থাকতে পারে।
কেন এমন দাবি? নিহত সুচিত্রা মণ্ডলের ছেলের দাবি, তাঁর মা এলাকায় আবাস যোজনার সমীক্ষা করতেন। এনিয়ে এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের একাংশের ক্ষোভ ছিল। প্রায় একই কথা বলছেন এলাকার উপপ্রধান ও তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের। ঘটনার পর থেকেই এলাকা থমথমে। গ্রামে টহল দিচ্ছে ক্যানিং থানার পুলিস।
রবিবার থমথমে গোটা গোপালপুর। নিহতের ছেলের দাবি, গতকালও এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবাস যোজনার তথ্য সংগ্রহ করেছেন। সন্ধেয় আলু জমিতে জল দিতে যান। সেখানেই কেউ তাকে কুপিয়ে চলে গিয়েছে। আবাস যোজনার তথ্য সংগ্রহ নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে একটা ক্ষোভ ছিল। যদি বলা হতো ওই কাজ করা যাবে না তাহলে মাকে সরিয়ে আনতাম।
এলাকার এক তৃণমূল নেতা বলেন, কী কারণে খুন তা বলতে পরব না। কালই ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছিলাম মহলার মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। পুলিসের কাছ আশা করব খুনের যেন সঠিক তদন্ত হয়। আবাস য়োজনার নথি সংগ্রহ করা নিয়ে দলে কোনও ক্ষোভ ছিল বলে জানি না।
তৃণমূল নেতা আসুদ আলি মোল্লা বলেন, সুচিত্রার হাত ধরেই এই বুথে তৃণমূলের উত্থ্ান। এখানে বিজেপির উত্থানের পর সংঘাত বেড়েছে। আমার মনে হয় এর পেছনে বিজেপি ও তৃণমূলের যুবরা রয়েছে।
ওই খুনের ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এই ঘটনা আমার কাছে মর্মান্তিক হলেও স্বাভাবিক বলে মনে হয়েছে। কারণ এটাই তৃণমূলের পরিণতি। আবাস য়োজনা বুঝিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের দখলদারি শেষ। গতকালই তৃণমূলের এক বড় নেতা বিজেপির বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখে এলেন। যেখানে এখনও বিরোধীদের পঞ্চায়েত রয়েছে সেখানেও বিরোধী পঞ্চায়েতের ক্ষমতা নেই আবাস য়োজনার তালিকা তৈরি করা। এর আগেও বসিরহাটে এক অঙ্গলওয়াড়ি কর্মী চাপ নিয়ে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। এই আবাস যোজনার তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ক্ষোভের মুখ পড়ছেন কর্মীরা। এভাবেই চলছে।