Diamond Harbour Ferry Accident: ফেরিঘাটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, নামতে গিয়ে ২ ভেসেলের ফাঁক গলে নদীতে তলিয়ে গেল ২ শিশু
রবিবার সকালে ডায়মন্ডহারবার ফেরি ঘাট থেকে লঞ্চ চড়ে পরিবারটি শিশুদের নিয়ে কুমড়োহাটিতে যায় বিকেল চারটে নাগাদ। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ কাটিয়ে সন্ধে সাতটা নাগাদ ভেসেলে চড়ে ডায়মন্ডহারবার ফেরে
নকিবউদ্দিন গাজি: বেড়ানোর আনন্দ এক পলকে পরিণত হল মর্মান্তিক দুর্ঘটনায়। ডায়মন্ডহারবারে ভেসেল থেকে নামতে গিয়ে পরিবারের লোকজনের সামনেই হুগলি নদীতে পড়ে গেল ২ শিশু। নদীতে সেসময় ভাটার টান এতটাই ছিল যে মুহূর্তই দুটি শিশু তলিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে একজন ঝাঁপ দিলেও শিশু দুটির কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। রবিরার সন্ধেয় ওই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে ডায়মন্ডহার প্রশাসনিক ভবনের কাছে ডায়মন্ডহারবার ফেরি ঘাটে। খবর পেয়েই চলে আসেন প্রশাসনের কর্তারা। কাজে লাগানো হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ঘটনাস্থলে চলে আসেন ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা শাসক অঞ্জন ঘোষ, ডায়মন্ড হারবার পুরসভার চেয়ারম্যান প্রণব কুমার ও অ্যডিশনাল এসপি পলাশ কুমার ঢালি।
আরও পড়ুন-নন্দীগ্রামে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে সুফিয়ান, ক্ষোভ মেটালেন কুণাল!
ওই শিশু দুটির বাড়ি ছত্তীসগড়ে। একজনের নাম আতিফা(৮) এবং অন্যজন সিত্রাহা(৫)। পরিবারের সঙ্গে কলকাতার তোপসিয়ায় এক আত্মীয়র বাড়িতে তারা বেড়াতে এসেছিল। সেখান থেকে মা-বাবা ও অন্যান্য আত্মীয়দের সঙ্গে ডায়মন্ডহারবার ঘুরতে আসে। রবিবার সকালে ডায়মন্ডহারবার ফেরি ঘাট থেকে লঞ্চ চড়ে পরিবারটি শিশুদের নিয়ে কুমড়োহাটিতে যায় বিকেল চারটে নাগাদ। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ কাটিয়ে সন্ধে সাতটা নাগাদ ভেসেলে চড়ে ডায়মন্ডহারবার ফেরে।
শিশু দুটির পরিবার সূত্রে খবর, ফেরিঘাটে একটি খালি ভেসেল দাঁড়িয়ে ছিল। যে ভেসেলটি চড়ে তাঁরা কুমড়োহাটি থেকে ফিরছিলেন সেটি এসে ওই ভেসেলের গায়ে এসে থামে। সাধারণভাবে দুটি ভেসেলে যাতে জোরাল ধাক্কা না লাগে তার জন্য দুটি ভেসেলের মধ্যে টায়ার দেওয়া থাকে। স্বভাবতই তাতে একটি ফাঁক তৈরি হয়। এদিন কুমড়োহাটি থেকে ভেসেলটি ফেরি ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা ভেসে এসে ঠেকার পর সবাই নামতে যায়। শিশু হওয়ায় লম্বা পা ফেলতে পারেনি এক শিশু। দুটি ভেসেলের সে মধ্যে গলে যায়। তাকে ধরতে দিয়ে পড়ে যায় তার ৮ বছরের দিদিও। এক নিমেষে পরিবারের লোকজনের সামনেই নদীতে তলিয়ে যায় ২ শিশু।
ঘটনার পরই জোরদার তল্লাশি শুরু করে দেয় বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের কর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ডায়মন্ডহারবার পৌরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, থেকে আরম্ভ করে অন্যান্য কাউন্সিলররা। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের লোকজন এখনও নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছেন। নামানো হয়েছে স্পিডবোট। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ওই শিশু দুটির মা ও সঙ্গে থাকা তার আত্মীয় পরিজনেরা।