Gangarampur: বিকল ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন, পরিষেবা ব্যহত গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে
গত দেড় মাস আগে এই ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনটি অকেজো হয়ে যায়। এরপর মেরামতকারী সংস্থাকে খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অসমর্থিত সূত্রের খবর, ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনের একটি যন্ত্রাংশ নষ্ট করে দিয়েছে ইঁদুর। প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা মূল্যের এই ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন মেরামত করতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মূল্যের কীটের প্রয়োজন।
শ্রীকান্ত ঠাকুর: গত দেড় মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন। বর্তমানে তুলনামূলক অনুন্নত মেশিনে চলছে এক্স-রে পরিষেবা। গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মত গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন বন্ধ থাকায় এর প্রভাব পড়ছে চিকিৎসায়। ২০১৬ সালে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে পরিষেবা চালু করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
গত দেড় মাস আগে এই ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনটি অকেজো হয়ে যায়। এরপর মেরামতকারী সংস্থাকে খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অসমর্থিত সূত্রের খবর, ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনের একটি যন্ত্রাংশ নষ্ট করে দিয়েছে ইঁদুর।
প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা মূল্যের এই ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন মেরামত করতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মূল্যের কীটের প্রয়োজন। তবে এই কীট কোথা থেকে জোগাড় হবে এবং কবে, কিভাবে মেরামত করা হবে এই ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এরপর বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Update: কমবে তাপমাত্রা, দোলের আগে রাজ্যে উধাও শীত
দীর্ঘ দেড় মাস ধরে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন অকেজো হয়ে পড়ে থাকবার ফলে, বর্তমানে বিকল্প একটি মেশিনে এক্স-রের কাজ চলছে। তবে সেই মেশিনটি তুলনামূলকভাবে অনুন্নত হওয়ায় প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যায় এক্স-রে প্রতিদিন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে হাসপাতাল সুত্রের খবর।
আরও পড়ুন: Magic Show Controversy: জাদুকর বটে! অন্যের বউ চুরি করে লুটলেন গোটা গ্রাম! খাস এ বাংলারই গল্প
গঙ্গারামপুর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন বংশীহারী, কুশমন্ডি, কুমারগঞ্জ, তপন, গঙ্গারামপুর সহ বিভিন্ন ব্লকের রোগীরা। অবশ্য সুপার স্পেশালিটি হসপিটালের তকমা দেওয়া থাকলেও তার পরিকাঠামোগত এবং সুযোগ সুবিধা অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ রগিদের তরফে। অবশ্য দ্বিতীয় একটি মেশিন দিয়ে রোগীদের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। দ্রুত এক্স-রে মেশিনটি চালু করার দাবি করছে এলাকার বাসিন্দারা।