জন্মের পাঁচ দিন পর শিশুমৃত্যু, চিকিত্সককে বেদম পিটিয়ে পুলিসে দিল আত্মীয়রা
চিকিত্সক দীপক গিরির দাবি, তদন্তে হলে সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: জন্মের ৫ দিন পর শিশুমৃত্যুর ঘটনায় নিশানায় চিকিত্সক। চিকিত্সায় অবহেলার অভিযোগ তুলে চিকিত্সককে বেদম মারল মৃত শিশুর আত্মীয়রা। মঙ্গলবার ওই মারধরের ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা রোডে। এনআরএস কাণ্ড খুব বেশিদিন হয়নি। তার মধ্যে ফের এই ঘটনা।
আরও পড়ুন-আরও তলানিতে যেতে পারে আর্থিক বৃদ্ধির হার, বলছে স্টেট ব্যাঙ্কের রিপোর্ট
বুধবার রাতে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে মেদিনীপুর শহরে ডা দীপক গিরির নার্সিংহোমে ভর্তি হন চন্দ্রকোনা রোডের বাসিন্দা অপর্ণা পল্লীর বাসিন্দা পদ্মিনী দাস। এদিন রাতেই সিজারিয়ান সেকশন করে তাঁর সন্তান প্রসব করার ডা গিরি। রবিবার ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় মা ও শিশুকে।
এদিকে সোমবার অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। বাড়ির লোকজন তাকে নিয়ে যায় স্থানীয় এক চিকিত্সকের কাছে। প্রাথমিক চিকিত্সার পর জন্ডিস ধরা পড়ে শিশুটির। তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করার পরামর্শ দেন স্থানীয় ওই চিকিত্সক। মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই সদ্যজাতর। এতেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে বাড়ির লোকজন। তাদের অভিযোগ চিকিত্সার গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে শিশুটির।
আরও পড়ুন-বাংলা মিডিয়ামে পড়ে মানুষ হওয়া যায় না, দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ
মঙ্গলবার অভিযুক্ত চিকিত্সক চন্দ্রকোনায় তাঁর চেম্বারে এলে তাকে মারধর করে মৃত শিশুর আত্মীয়রা। ডা গিরিকে মারধর করে পুলিসের হাতে তুলে দেয় উত্তেজিত জনতা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ওই চিকিত্সককে আটক করেছে পুলিস। তবে চিকিত্সক দীপক গিরির দাবি, তদন্তে হলে সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে।