Malbazar: নদীর বিধ্বংসী জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেল সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড...
Malbazar: ঝুমুর সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডের একাংশ উড়ে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল নাগরাকাটা ব্লকের আংরাভাসা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কলাবাড়ি চা-বাগান। সেখানকার ডায়না লাইন-সংলগ্ন ঝুমুর সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডের অন্তত ২০ ফুট অংশ ভেঙে গেল। ভারী বৃষ্টিতে ফুলে ওঠা নদীর বিধ্বংসী জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেল রাস্তা।
অরূপ বসাক: ঝুমুর সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডের একাংশ উড়ে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল নাগরাকাটা ব্লকের আংরাভাসা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কলাবাড়ি চা-বাগান। সেখানকার ডায়না লাইন-সংলগ্ন ঝুমুর সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডের অন্তত ২০ ফুট অংশ ভারী বৃষ্টিতে ফুলে ওঠা নদীর বিধ্বংসী জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেল।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: রাতভর বৃষ্টি, প্লাবিত লোকালয়, ফুঁসছে নদী! জারি লাল সতর্কতা...
এর ফলে ওই শ্রমিক মহল্লার ২৫০ জন শ্রমিক বৃহস্পতিবার চা-বাগানের মূল ডিভিশনে আর কাজেই যেতে পারেননি। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া বাসিন্দার সংখ্যা প্রায় হাজারদেড়েক। শ্রমিক মহল্লাটির বেশ কিছু বাড়ি-ঘরে জল ঢুকে যায়। কলাবাড়ি চা-বাগানের ম্যানেজার কল্লোল রায় বলেন, ঝুমুর নদীর উৎসস্থল এই বাগানেই।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে চরম দুর্ভোগের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা বাগানেই। ওই রাস্তাটিই ওখানে যাতায়াতের একমাত্র পথ। এদিকে নাগরাকাটা ব্লকের আরও বেশ কিছু এলাকায় কোথাও নদী কিংবা কোথাও নালার জল উপচে প্লাবিত হওয়ার খবর মিলেছে। সুলকাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খয়েরবাড়িতে অন্তত ২০টি বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। গাঠিয়া নদী-লাগোয়া ছাড়টন্ডু বস্তিও আতঙ্কে রয়েছে। নদী ক্রমশ গ্রামের দিকে এগিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: WB Weather Update: উত্তরে অতি প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস; দক্ষিণের জেলাগুলি ভিজবে কবে, জানাল হাওয়া অফিস
এদিকে সিকিম ও ভুটান পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির জেরে জলঢাকা নদীতে সংরক্ষিত এবং তিস্তায় অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। পাশাপাশি এই দুই নদীর সংরক্ষিত এলাকায় অর্থাৎ, শহরের দিকে, হলুদ সতর্কতা জারি করলো সেচ দফতর। জলপাইগুড়ি পুরসভার বেশ কিছু এলাকায় জল জমে থাকার কথা স্বীকার করে নিয়ে পুরসভার চেয়ারপার্সন জানান, অতি ভারী বৃষ্টিতে কিছু জায়গায় জল জমেছে। বৃষ্টি কমলে এই জল নেমে যাবে। তবে সমস্যার যাতে দ্রুত সমাধান হয়, সেই লক্ষ্যে চেষ্টা চলছে।