Abhishek Banerjee: আগামী ২ বছরেই ডায়মন্ডহারবারের প্রতিটি ঘরে নলবাহিত পানীয় জল, ঘোষণা অভিষেকের
রাজ্যে গরিব মানুষে ঘর তৈরি প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, বাংলা আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখে দিয়েছে কেন্দ্র। কারণ বাংলায় বিজেপি হেরেছে। বাকী রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে। ডেলি প্যাসেঞ্জারি করে নির্বাচন জেতা যায় না। বছরের ৩৬৫ দিন মানুষের পাশে থাকতে হয়
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মানুষ আমাদের জিতিয়েছে। তাই বছরভর তাদের পরিষেবা দেওয়া আমাদের কাজ। বিরোধীদের কাছে বরং আগে পরিষেবা দেব। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের টাকা আটকে রেখেছে। ভেবে দেখুন একশো দিনের কাজের সঙ্গে কত মানুষের জীবন জীবিকা নির্ভরশীল। আমাদের ৯ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। গত সপ্তাহে রাজ্যসভায় আমাদের সাংসদ জহর সরকার প্রশ্ন করেছিলেন। তার উত্তরে সরকার জানিয়েছে প্রত্যেকটি রাজ্যকে হাজার হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে শূন্য। অর্থাত্ আপনি প্রমাণ করছেন, আপনারা বাংলায় হেরে গিয়েছেন বলে বাংলাকে বঞ্চিত করছেন। বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করছি, আপনাদের একটা সাংসদের কেন্দ্র দেখান যেখানে আপনি আগামী ২ বছরের ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দিতে পারবেন। আমরা ডায়মন্ডহারবারে তা করে দেখাব। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ২০২২ সালের মধ্যে সবার মাথার উপের ছাদ করে দেব। হয়েছে? সব ভাঁওতা। কথা দিচ্ছি ২০২৪ এর মার্চের মধ্যে ডায়মন্ডহারবারের প্রতিটি ঘরে ঘরে নলবাহিত জল পৌঁছে দেব।
আরও পড়ুন- 'সমস্যাটা বিকিনি বা অধ্যাপিকার নয়, সমস্যাটা সমাজের ও ভাবনার!'
ডায়মন্ডহারবারে আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া প্রসঙ্গে অভিষেক আরও বলেন, ৫৬৪ কোটি টাকা খরচ করে ৭৮৬ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসিয়ে ঘরে ঘরে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। একটা বাড়িও বাদ থাকবে না। পঞ্চায়েতের মানুষজনকে অনুরোধ করব, কোনও বাধা ছাড়া কাজটা কীভাবে হতে পারে তা দেখতে হবে। ২ বছরের কাজটা কীভাবে ১৮ মাসে শেষ করতে পারি তা সবাইকে দেখতে হবে। আর একটা বিষয় হল জলের অপচয় বন্ধ করতে হবে। জলের কী মূল্য তা প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ জানে। গত ৩৪ বছর যে সরকার ছিল তা এইসব বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে দেখেনি।
রাজ্যে গরিব মানুষে ঘর তৈরি প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, বাংলা আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখে দিয়েছে কেন্দ্র। কারণ বাংলায় বিজেপি হেরেছে। বাকী রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে। ডেলি প্যাসেঞ্জারি করে নির্বাচন জেতা যায় না। বছরের ৩৬৫ দিন মানুষের পাশে থাকতে হয়। করোনার সময় ডক্টরস অন হুইলস গোটা দেশে মডেল হয়ে গিয়েছে। কালও দেখেছেন ডায়মন্ড হারবারে নিখোঁজ রোগীর সংখ্যা শূন্য। করোনার সময় বলেছিলাম একদিনে ৩০ হাজার টেস্ট করব। আমরা রাস্তায় নেমে একদিনে ৫০ হাজার করোনা টেস্ট করে করোনা রুখেছি। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় কমিউনিটি কিচেন খুলে ১৪ লাখ মানুষকে ১৪ দিন খাইয়েছি। দেশের কোনও সাংসদ করে দেখাতে পারেনি। আগামী ২ বছরের মধ্যে ঘরে ঘরে জল চলে যাবে। এটা হবে আপনাদের মাথায় নতুন পালক। আগামী ৩০ বছর ডায়মন্ডহারবারে জলের অভাব থাকবে না।