Fansideoa: গাঁজা পাচারে সাকরেদ খোদ স্ত্রী, জেরাতে বেরিয়ে এল নয়া তথ্য
সূত্রের খবর, ধৃতরা রানীডাঙ্গা সংলগ্ন কালারামজোত এলাকায় পাচারের উদ্দেশ্যে গাঁজা নিয়ে এসেছিল
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফাঁসিদেওয়া পুলিসের বিশেষ অভিযানে ফাঁস গাঁজা পাচার চক্র। গ্রেফাতার স্বামী-স্ত্রী। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল চক্রটি কাজ করছে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার এক স্বামী-স্ত্রী-র গাঁজা পাচার গ্য়াং-কে গ্রেফতার করে পুলিস। মোটরবাইকে করে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ থেকে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরে শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়াতে পাচারের ছক কষা হয়েছিল। ধৃত কালীকান্ত ঋষি (৩৮) এবং তাঁর স্ত্রী কাকলি ঋষি (৩৪) মেখলিগঞ্জ থানার ২ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিপাড়ার বাসিন্দা।
অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন থেকে এই কারবার করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় মামলা রুজু করা হচ্ছে।আজ ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিস জানিয়েছে, কালীকান্তকে ৭ দিন পুলিসি হেপাজতের আর্জি জানাবেন তদন্তকারী অফিসার।
আরও পড়ুন-Video: প্রশাসনিক বৈঠকেও লাইম লাইটে মদন, 'রবীন্দ্র সংগীত ছা়ড়া কিছু গাইছ না তো?' প্রশ্ন মমতার
ফাঁসিদেওয়া পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ কালীকান্ত ও কাকলি ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ঝমকলালজোত এলাকায় তিস্তা ক্যানাল হাইড্রাল প্রজেক্টের কাছে পৌঁছাতেই পুলিস সন্দেহের বশে মোটরবাইক আটক করে। মোটরবাইকে তল্লাশি চালাতেই সামনে থেকে বেশ কয়েকটি পলিথিনের প্যাকেটে প্রায় সাড়ে ৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। এরপরই পুলিস অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা গাঁজা পাচারের কথা স্বীকার করে নেয়।
সূত্রের খবর, ধৃতরা রানীডাঙ্গা সংলগ্ন কালারামজোত এলাকায় পাচারের উদ্দেশ্যে গাঁজা নিয়ে এসেছিল। এর আগে তারা অন্যকোথায় গাঁজা পাচার করেছিল কিনা তা খোঁজ খবর করে দেখা হচ্ছে। এদিন উদ্ধার হওয়া গাঁজার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকারও বেশি বলে মনে করছে পুলিস। পাচারে ব্যবহৃত মোটরবাইকটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস।
কোচবিহার জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক থানা পেরিয়ে এভাবেই ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে শিলিগুড়ি মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় গাঁজা পৌঁছে যাচ্ছে। জাতীয় সড়ক সহ বিভিন্ন জায়গায় জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলা পুলিসের নাকা এবং রুটিন তল্লাশি পেরিয়ে, কোনওরকম বাধা ছাড়াই কীভাবে স্বামী-স্ত্রী মিলে এই গাঁজা প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূর থেকে ফাঁসিদেওয়া নিয়ে পৌঁছাল, তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে, এই পাচারের ঘটনায় স্থানীয় কিংবা বাইরের কারও যোগ রয়েছে কিনা, তা নিয়েও পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনা এই কায়দায় আর কতগুলি গ্যাং কাজ করছে সেই তথ্য সামনে আনা কতটা সম্ভব হবে, তা সময়ই বলবে।