Ranigunj Water Crisis: বর্ষাতেও জলের আকাল, পঞ্চায়েত অফিস থেকেই বিক্রি হচ্ছে পরিস্রুত জল
এই জল নিয়ে ব্যবসা করছেন এলাকার অনেকেই। এতে আপত্তি নেই এলাকার মানুষজনের। তবে তাদের দাবি, ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছবে না কেন?
বাসুদেব চট্টোপাধ্য়ায়: বর্ষাতেও পানীয় জলের প্রবল অভাব এলাকায়। সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে রানীগঞ্জের জেরামি পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েত অফিস থেকেই ৪০ পয়সা লিটার বিক্রি হচ্ছে RO জল। আর তা কিনতে পঞ্চায়েতে লাইন পড়ছে সোম থেকে শনি, সকাল দশটা থেকে পাঁচটা। এলাকার কেউ ২০ লিটার কেউ ৩০ লিটার জল নিয়ে যাচ্ছে রোজ।
রানীগঞ্জ ব্লকের জেমারি পঞ্চায়েত এলাকায় জলের অভাব রয়েছে। বিষয়টি মেনে নিয়েছেন পঞ্চায়েতের প্রধান শিল্পী মাজি। তিনি বলেন এক বেসরকারি সংস্থা এই প্রকল্পটা বানিয়েছিল, সেখান থেকে জল নিতেন গ্রামের মানুষজন। পরে সেই কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে সেই প্রকল্পটা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। এতে কয়েকজন বেকার যুবকের কর্মসংস্থানও হয়েছে। অনেকেই জল কিনে নিয়ে গিয়ে বাড়ি বাড়ি বিক্রি করেন। এতে কিছু রোজগার হয় অর্থাৎ জল বিক্রি পুরোদমে চলছে রানীগঞ্জের এই জেমারি পঞ্চায়েত দফতরে।
এদিকে, এলাকার গরিব মধ্যবিত্ত মানুষ পরিস্রুত পানীয় জল পেয়ে খুশি। তবে অনেকেই চান বাড়ির কাছে জল পৌঁছে যাক বিনা পয়সায়। কারণ জলের মতো একটা জিনিস ঘরে ঘরে পৌঁছবে না কেন? এই প্রশ্ন অনেকেরই। তবে পঞ্চায়েত এখন সেদিকে না গিয়ে পরিস্রুত জলের ব্যবস্থা করেছেন এভাবেই।
পানীয় জলের ব্যবসা যারা করছেন তারা বলছেন এক ডিব্বা জল বিক্রি করতে পারলে তারা ১২ টাকা লাভ হয়। সারাদিনে যা জল বিক্রি হয় তাতে তাদের পরিবার স্বাচ্ছন্দেই চলে। কিন্তু এই জল বিক্রির প্রকল্প চলার পাশাপাশি একটি নতুন প্রকল্পের কাজও শুরু হয়েছে এই এলাকার সাধারণ মানুষদের পানীয় জল দেওয়ার জন্য। সেই প্রকল্প কবে শেষ হবে সেই উত্তর কারো কাছে নেই। অর্থাৎ এখনো বেশ কয়েক বছর এই পঞ্চায়েত থেকেই পরিস্রুত পানীয় জল কিনে নিয়ে যেতে হবে এই গ্রাম সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সাধারণ মানুষজনকে। বাড়ির অন্যান্য কাজ পুকুর বা কুয়ো থেকে করতে হয় এই এলাকার বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন-আমার দ্বিতীয় ইনিংস আগের থেকে উজ্জ্বল হবে, মন্ত্রী হয়ে জানালেন বাবুল