যাদবপুরের পর রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ রাজ্যপালের
এদিন দায়িত্বভার গ্রহণ করে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক দীপক বাবু জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা দূরীকরণে কাজ করবেন তিনি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যাদবপুরের পর এবার রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল সি.ভি. আনন্দ বোস। রাজ্যপালের কাছ থেকে নির্দেশ পেয়ে মঙ্গলবার সকাল ৯ টা নাগাদ রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব নিলেন অধ্যাপক ড. দীপক কুমার রায়। তিনি রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে অধ্যপনা করছেন। কিছুদিন কলা বিভাগের ডিন হিসাবেও দায়িত্ব সামলেছেন দীপক বাবু। মঙ্গলবার সকালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দায়িত্ব বুঝে নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে স্থায়ীভাবে কেউ ছিলেন না। আড়াই মাস ধরে পদটি একদম ফাঁকা পড়েছিল। সোমবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস দীপকবাবুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তারপর সোমবার-ই রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের নির্দেশ এসে পৌঁছায়। এরপর মঙ্গলবার সকালে অধ্যাপক ড.দীপক কুমার রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যের দায়িত্বভার বুঝে নেন। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হচ্ছে, সেই সময়ে ফের রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগ যে নয়া মাত্রা যোগ করবে তা বলাই বাহুল্য। ওদিকে এদিন দায়িত্বভার গ্রহণ করে দীপক বাবু জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা দূরীকরণে কাজ করবেন তিনি। প্রসঙ্গত, গণিত বিভাগের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য পদে নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। শনিবার সন্ধের পর ওই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেন রাজ্যপাল।
৯ আগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের ৩ তলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় প্রথমবর্ষের এক পড়ুয়ার। সেই ঘটনার ১০ দিন পর এই নিয়োগ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বারবার বলছিল, যেহেতু কোনও উপাচার্য নেই, তাই ওইসব কাজ সামলানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। নির্দিষ্ট কিছু নির্দেশ কেউ দিতে পারছে না। সিসিটিভি কোথায় বসবে, তার অর্থ কোথা থেকে আসবে সেরকম কিছু নির্দেশিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে ঢিলেমি হচ্ছে। যাদবপুরের কোর্ট মেম্বাররা সম্প্রতি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখাও করেন। সেখানেও তাঁরা উপাচার্য নিয়োগের দাবি করেন। অবশেষে ছাত্র মৃ্ত্যু ঘটনার তদন্ত চলাকালীন-ই অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। যা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মত ওয়াকিবহল মহলের।
আরও পড়ুন, Student Death: যাদবপুরকাণ্ডের ছায়া? বাড়ি থেকে উদ্ধার দশম শ্রেণির ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ!