West Midnapur School: এলাকার একমাত্র মেয়েদের স্কুলে নেই কোনও স্থায়ী শিক্ষক, সব দায়িত্ব সামলাচ্ছেন গ্রুপ ডি কর্মী

জেলার সহ-শিক্ষা অধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, ঘটনাটি সত্য। পুরো বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ হবে

Updated By: Jul 25, 2022, 01:31 PM IST
West Midnapur School: এলাকার একমাত্র মেয়েদের স্কুলে নেই কোনও স্থায়ী শিক্ষক, সব দায়িত্ব সামলাচ্ছেন গ্রুপ ডি কর্মী

চম্পক দত্ত: স্কুল আছে, আছে পড়ুয়াও। নেই একজনও স্থায়ী শিক্ষিকা। স্কুলের দ্বায়িত্বভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন গ্রুপ ডির এক কর্মী। এভাবেই চলছে এলাকার একমাত্র বালিকা বিদ্যালয়। একসময় এলাকায় ছিল না কোনও বালিকা বিদ্যালয়। তাই নারী শিক্ষার প্রসার ঘটাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরে আনন্দময়ী জুনিয়ার বালিকা বিদ্যালয় গড়ে তোলেন এলাকার মানুষজন। সরকারি অনুমোদনও পেয়েছে স্কুলটি।  বর্তমানে সেই বালিকা বিদ্যালয়ে নেই কোনও স্থায়ী শিক্ষিকা। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন ধরে গ্রুপ ডি কর্মী।

স্কুলটি টিকিয়ে রাখতে ওই গ্রুপ ডি কর্মী নিজের মাসিক বেতনের টাকা ও  স্কুল পরিচালন কমিটির দেওয়া কিছু টাকা দিয়ে অস্থায়ীভাবে এলাকার বেকার যুবতীদের শিক্ষিকা হিসাবে নিয়োগ করে চলছে স্কুলের পঠন পাঠন। আর এর ফলেই শিক্ষা দপ্তরের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার মানুষ থেকে শুরু করে স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্যরা। 

এলাকার মানুষ  ১৯৮১ সালে দলমত নির্বিশেষে স্থাপন করেছিল বালিকা বিদ্যালয়। ২০১২ সালে সরকারিভাবে অনুমোদন পায় সেই বালিকা বিদ্যালয়টি। শতাধিক-ছাত্রী নিয়ে স্কুলের পঠনপাঠান শুরু হয়েছিল প্রয়োজন মতো ছিল শিক্ষিকাও। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অবসর নেন অনেকে। এমনকি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার ২০২১ সালে অকাল মৃত্যুতে পদটি শূন্য। স্কুলের খাতায় একজন মাত্র স্থায়ী গ্রুপ ডির কর্মী। তিনিই স্কুলের শিক্ষার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। শুধু তাই নয় স্কুলের আশা ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার ভবিষ্যতের কথা ভেবে গ্রুপ ডির কর্মী ও স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্যরা নিজেদের জমানো টাকা খরচা করে অস্থায়ীভাবে শিক্ষিকা দিয়েই চালাচ্ছেন স্কুল। এমনকি গ্রুপ ডির কর্মীকেও মাঝেমধ্যে নিতে হয় ক্লাস।

অপরদিকে শিক্ষিকা না থাকায় শতাধিক ছাত্রী থেকে তা কমতে কমতে  বর্তমানে ১৫ জন ছাত্রীতে দাঁড়িয়েছে। স্কুলের গ্রুপডি কর্মী তথা ক্লার্ক যিনি বর্তমানে স্কুলে প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন সেই শিবপ্রসাদ চৌধুরীর দাবি,জেলা শিক্ষা দপ্তর থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রির দ্বারস্থ হয়েও স্কুলে কোন শিক্ষিকা আসেননি। এর ফলেই যে কোনও মুহূর্তে হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে স্কুল।

এবিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সহ-শিক্ষা অধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, ঘটনাটি সত্য। পুরো বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ হবে।

আরও পড়ুন-Exclusive: 'ভালো নেই', ভুবনেশ্বরে অ্যাম্বুল্যান্সে ওঠার আগে বুকে হাত দিয়ে ইঙ্গিত মন্ত্রীর

আরও পড়ন-দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি কী বললেন তাঁর প্রথম ভাষণে? 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.