Hooghly : 'আমাকে ও আমার পরিবারকে দায়ী করবে, তাই যাচ্ছি,' প্রেমিক আত্মঘাতী হতেই আত্মঘাতী প্রেমিকা
বি-টেক পাশ মনোজিতের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ফিলোজফিতে পিএইচডি পাঠরত পূজার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: "মনোজিৎ চলে গেছে। কিছুই না, সামান্য ঝগড়া হয়েছিল আমাদের। আমিও মরে যাচ্ছি। কারও কথা ভাবি না বলে না। ও যে বিনা কারণে চলে গেল, তারজন্য সবাই আমাকেই দায়ী করবে। আমার পরিবারকেই দায়ী করবে। তাই আমিও যাচ্ছি গিয়ে..." প্রেমিকের আত্মঘাতী হওয়ার খবর পেয়ে এই কথাগুলি লিখে রেখেই আত্মঘাতী হল প্রেমিকাও। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির কানাইপুরে।
বুধবার সন্ধ্যায় আত্মঘাতী হয় মনোজিৎ সিংহ (২৮)। সে কানাইপুর ন'পাড়ায় ভাড়া থাকত। আদতে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা মনোজিৎ বি-টেক পাশ করে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করছিল। অন্যদিকে কানাইপুর কলোনির বাসিন্দা পূজা শীল (২৬) ফিলোজফিতে পিএইচডি করছিল। দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠার পর ধীরে ধীরে তা প্রেমের রূপ পায়।
পূজার মা রীতু শীল জানিয়েছেন, গতকাল প্রেমিক মনোজিতের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে তাকে দেখতে গিয়েছিল পূজা। তারপর রাতে খাওয়াদাওয়া করে পূজারা দু'বোন ঘরে চলে যায়। এরপর রাতে শৌচালয়ে যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে আত্মঘাতী হয় পূজা। পূজার কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিস। তাতেই লেখা রয়েছে যে প্রেমিক মনোজিতের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল তার। ওই ঝগড়ার কারণে প্রেমিক আত্মহত্যার মত চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন তার পরিবারকে যাতে কেউ দায়ী না করে, তাই পূজাও তাই করছে।
আরও পড়ুন, Saltlake : হোটেলে বসেই ৩ মাস ওয়ার্ক ফ্রম হোমে, আত্মঘাতী বেসরকারি কর্মী
প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, অবসাদেই এঘটনা ঘটিয়েছে ওই যুগল। এপ্রসঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত কানাইপুর প্রধান আচ্ছালাল যাদব বলেন, খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। এমন ঘটনা এড়াতে দরকারে ছেলেমেয়েদের কাউন্সেলিং করতে হবে।