পণ না দেওয়ায় খুন গৃহবধূ, মৃতের বাবাকে সালিশির পরামর্শ দিল পুলিশ!
পুলিসের কাছে মেয়েকে খুনের বিচার চাইতে গিয়েছিল বাবা, তদন্তের আশ্বাসের বদলে সালিশির পরামর্শ দিল পুলিস। এমনই অভিযোগ উঠেছে মালদহ জেলার হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পুলিসের কাছে মেয়েকে খুনের বিচার চাইতে গিয়েছিল বাবা, তদন্তের আশ্বাসের বদলে সালিশির পরামর্শ দিল পুলিস। এমনই অভিযোগ উঠেছে মালদহ জেলার হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে।
২০১৬সালে ২০ এপ্রিল বিহারের পূর্ণিয়ার বাসিন্দা উদয়চন্দ্র লালের মেয়ে অনুরাধার সাথে বিয়ে হয় মালদহের হরিশচন্দ্রপুর থানার ভালুকা বাজারের বাসিন্দা প্রবীর চৌধুরীর, তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। অভিযোগ, বিয়ের সময় যৌতুক হিসাবে কয়েক ভরি সোনার গহনা, পাঁচ লক্ষ টাকা এবং আসবাবপত্র নেন পাত্র প্রবীর চৌধুরী। বিয়ের কয়েক মাস পর মেয়ের বাড়ির কাছে আরোও টাকা দাবি করেন প্রবীর। অনুরাধার পরিবার তা দিতে অস্বীকার করলে অনুরাধার উপর অত্যাচার শুরু করেন প্রবীর। অনুরাধা বাবা উদয়বাবুর আরও অভিযোগ মেয়ের মুখে অত্যাচারের কথা শুনে প্রবীরের দাবি মতোই তিনি তাঁকে আরও দুই লক্ষ টাকা দেন। তবুও অত্যাচার বন্ধ হয়নি। বরং আরো টাকার দাবি আসতে থাকে। তা দিতে অস্বীকার করলেই গত ৫ নভেম্বর তাঁর মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। পরে অপরাধ ঢাকতে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি মৃতের বাবার।
এরপরই মেয়ের খুনে বিচার চাইতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের দারস্থ হন উদয়বাবু। কিন্তু অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করে পুলিস বারবার তাঁদের ঘোরাতে থাকে বলে অভিযোগ। অবশেষে সালিশি করে বিষয়টি মিটিয়ে নেবার পরামর্শ দেন হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ কর্তারা। উদয়বাবুর আরও অভিযোগ ঘটনার দিন পুলিস তাঁর মেয়ের দেহ উদ্ধারও করেনি। অভিযুক্ত প্রবীরবাবুই দেহটিকে উদ্ধার করে হরিশচন্দ্রপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। তা থেকেই তাঁদের সন্দেহ হয় যে তাঁর মেয়েকে প্রবীরবাবু সহ তার পরিবারের সদস্যরাই খুন করেছেন এবং তা আত্মহত্যার রূপ দিচ্ছেন।
তবে পুলিসের কাছে মেয়ের খুনের বিচার চাইতে গিয়ে আরোও বেশি হতাশ হন বলে জানান উদয়বাবু। এরপরই পুলিশ কর্তাদের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি এবার মালদহ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে দারস্থ হয়েছেন। যদিও এবিষয়ে পুলিস সুপার কোনও মন্তব্য করতে চাননি।