রান্না করা নিয়ে ঝগড়া, প্রেম করে পালিয়ে গিয়ে বিয়েতে ১০ মাসেই মর্মান্তিক পরিণতি যুবতীর
স্বামী রথীন হালদার বাপের বাড়িতে ফোন করে জানায় যে, পেটের ব্যথায় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে কাকলি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রান্না করা নিয়ে বচসা। আর তার জেরেই তরুণী গৃহবধূকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিস। ঘটনাটি কলকাতার নিউটাউন গৌরাঙ্গ নগরের। মৃতার নাম কাকলি হালদার (মণ্ডল)।
মৃতার পরিবার জানিয়েছে, ১০ মাস আগে গৌরাঙ্গ নগরের নিবেদিত পল্লির বাসিন্দা রথীন হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয় সত্যজিৎ পল্লির বাসিন্দা কাকলি মণ্ডলের। বিয়ের আগে থেকে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে দুজনে। এরপর মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ স্বামী রথীন হালদার বাপের বাড়িতে ফোন করে জানায় যে, পেটের ব্যথায় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে কাকলি। আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু, বাবা-মা না এলে ভর্তি নেবে না হাসপাতাল। ফোন পেয়েই হাসপাতালে পৌঁছয় পরিবারের লোকেরা। হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, এক পাশে পড়ে আছে কাকলি। তখন জিজ্ঞাসা করলে স্বামী রথীন জানান, কাকলির মৃত্যু হয়েছে।
অভিযোগ, এরপরই হাসপাতালে দেহ ফেলে রেখে বাড়িতে চলে আসে স্বামী রথীন। হাসপাতালের কাজ মিটিয়ে এরপর শ্বশরবাড়িতে পৌঁছয় মৃতার বাপের বাড়ির লোকেরা। অভিযোগ, তখন তাঁদের বলা হয় যে, রান্না নিয়ে ঝামেলা হয়। তারপরই ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন কাকলি। কিন্তু ঘরে ঢুকে সন্দেহ হয় মৃতার বাপের বাড়ির লোকেদের। আত্মহত্যার কোনও চিহ্ন তাঁরা খুঁজে পাননি। তাঁদের অভিযোগ, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে কাকলিকে। মৃতার গলার কাছে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।
আরও পড়ুন, 'ওকে ছাড়া বাঁচতে পারব না,' স্ত্রীর ছবি গলায় ঝুলিয়ে আত্মঘাতী স্বামী
এই ঘটনায় এরপরই নিউটাউন থানায় অভিযোগ জানায় মৃতার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করে পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে দুজনকে।