সীতার অগ্নিপরীক্ষার মতো, ইভিএম-কেও দিতে হল নিরপেক্ষতার পরীক্ষা

৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের পর থেকেই, তাকে নিয়ে যত টানাপোড়েন। তার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। সীতার অগ্নিপরীক্ষার মতো, তাকেও দিতে হয়েছে নিরপেক্ষতার পরীক্ষা। কিন্তু এত কাণ্ডের পরেও সম্মান ফিরল কই! বাংলার পুরভোটে মাটিতে গড়াগড়ি খেল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেসিনস। ভাঙা EVM এর দীর্ঘশ্বাস শুনল ২৪ ঘণ্টা। সমতলের মাত্র ৩ পুরসভায় ভোট। তাতেই আমার অবস্থা দেখুন! লাথি, ঘুষি, কিল, আছাড় - সব হজম করতে হল।আমার শরীরের অংশ ছিঁড়ে নিয়ে গেল কেউ। পাক সেনার বর্বর আচরণের মতো একি কোনও অংশে কম! পূজালি, ডোমকল, রায়গঞ্জ - সব জায়গাতেই কার্যত ধর্ষণ করা হল আমাকে। মহিষাসুরের ছিন্ন শিরের মতো মাটিতে গড়াগড়ি খেল আমার সম্মান। ভোটে আমিই যেন ভিলেন! অথচ এমনটা হওয়ার কথা কি ছিল? প্রতি ভোটে নিরলস ভাবে ডিউটি করি। তারপরেও কেন এই লাঞ্ছনা!সবচেয়ে বড় দাগাটা এবার খেলাম ডোমকলে। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৮ নম্বর বুথ থেকে আমাকে ভ্যানিসই করে দিল ওরা! এতো পুরো অপহরণের কেস! কিন্তু কেউ কিস্যুটি করতে পারল না!

Updated By: May 14, 2017, 10:08 PM IST
সীতার অগ্নিপরীক্ষার মতো, ইভিএম-কেও দিতে হল নিরপেক্ষতার পরীক্ষা

ওয়েব ডেস্ক: ৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের পর থেকেই, তাকে নিয়ে যত টানাপোড়েন। তার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। সীতার অগ্নিপরীক্ষার মতো, তাকেও দিতে হয়েছে নিরপেক্ষতার পরীক্ষা। কিন্তু এত কাণ্ডের পরেও সম্মান ফিরল কই! বাংলার পুরভোটে মাটিতে গড়াগড়ি খেল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেসিনস। ভাঙা EVM এর দীর্ঘশ্বাস শুনল ২৪ ঘণ্টা। সমতলের মাত্র ৩ পুরসভায় ভোট। তাতেই আমার অবস্থা দেখুন! লাথি, ঘুষি, কিল, আছাড় - সব হজম করতে হল।আমার শরীরের অংশ ছিঁড়ে নিয়ে গেল কেউ। পাক সেনার বর্বর আচরণের মতো একি কোনও অংশে কম! পূজালি, ডোমকল, রায়গঞ্জ - সব জায়গাতেই কার্যত ধর্ষণ করা হল আমাকে। মহিষাসুরের ছিন্ন শিরের মতো মাটিতে গড়াগড়ি খেল আমার সম্মান। ভোটে আমিই যেন ভিলেন! অথচ এমনটা হওয়ার কথা কি ছিল? প্রতি ভোটে নিরলস ভাবে ডিউটি করি। তারপরেও কেন এই লাঞ্ছনা!সবচেয়ে বড় দাগাটা এবার খেলাম ডোমকলে। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৮ নম্বর বুথ থেকে আমাকে ভ্যানিসই করে দিল ওরা! এতো পুরো অপহরণের কেস! কিন্তু কেউ কিস্যুটি করতে পারল না!

আরও পড়ুন বারুইপুরে ব্ল্যাকমেলের শিকার মহিলা

অথচ আমার দেশ বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের পীঠস্থান। আমার দেশে প্রজারাই ঠিক করে, কে রাজা হবে। একি কম গর্বের কথা! ধনী, দরিদ্র, ব্রাহ্মণ, চণ্ডাল - রাষ্ট্র গঠনে দেশের সব মানুষের ভাবনার প্রতিফলন আমার বুকে। মনে হয়, রাজনীতি আর কেন বলি? এ তো লোকনীতি! কিন্তু লোকনীতিতেও দুষ্টু লোক থাকে। ভোটে হারলেই কেউ কেউ ঘুম থেকে উঠে গাল পাড়তে শুরু করে আমাকে। প্রশ্ন তোলে চরিত্র নিয়ে। খোদ দিল্লিশ্বরের অভিযোগ। কেউ আবার তাতে ধুনোও দেয়।
মাঝে মাঝে আমার দিকে আড়চোখে তাকান বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও। বিরোধী নেতারা ধুয়ো তুলছেন, ফিরিয়ে আনো পুরনো ব্যালট। তাও আবার এই ডিজিটালের যুগে ... ধন্যি রাজনীতি! যার হৃদয়পুরে আমজনতার রায়, সেই নাকি নিরপেক্ষ নয়! সেই নাকি বিকিয়ে গেছে গেরুয়া রাজনীতির কাছে! কত না অভিযোগ বিরোধীদের! আমি যে কোনও কারচুপিতে নেই, বারবার জানিয়েছিল কমিশন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! বাধ্য হয়ে সীতার অগ্নিপরীক্ষার মতো আমাকেও দিতে হল চরিত্রের পরীক্ষা।দিল্লি বিধানসভায় সব দলের নেতাদের সামনে কত কাটাছেঁড়াই না চলল। অগ্নিপরীক্ষায় পাশ করে পাতালে যেতে হয়েছিল সীতাকে। আমার পাতাল প্রবেশ হয়নি। খণ্ডিত হয়ে বেঁচে আছি, এই অনেক।

আরও পড়ুন  দিনভর পূজালির কিছু এলাকায় দাপিয়ে বেড়াল বাইক বাহিনী

 

.