কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে প্রায় ছ-ঘণ্টা পড়ে থেকে যন্ত্রণায় কাতরাল যুবক
ওয়েব ডেস্ক: কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের অমানবিক মুখ। প্রায় ছ-ঘণ্টা হাসপাতালেই পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাল যুবক। ট্রেনে তাঁর দুটি পা কাটা পড়ে। পা দিয়ে অনর্গল রক্ত বের হলেও এবং ওই যুবক লাগাতার যন্ত্রণায় চিত্কার করলেও, কেউ নজর দেয়নি বলে অভিযোগ। গতকাল রাত আটটা নাগাদ ট্রেন স্টেশনে ঢোকার মুখে হঠাত্ পড়ে যান বহরমপুরের বাসিন্দা শঙ্কর রায়। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
রাজ্যে প্রথম মাছের খাবার উত্পাদন প্ল্যান্ট গড়ে উঠতে চলেছে
অভিযোগ, প্রাথমিক চিকিত্সার নামে নামমাত্র দেখেই, তাঁকে ফেলে রেখে দেওয়া হয়। আমাদের সাংবাদিক এই খবর করতে পৌছলে, তখন টনক নড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। ডিউটিতে থাকা ডাক্তার রাত বারোটার পর অবশেষে রোগীর পায়ে ব্যান্ডেজ করে দেন। রক্তপাত যাতে বন্ধ হয় সেই ব্যবস্থাও করা হয়। রাত দুটোর পর ডাক্তারকে কল করে নিয়ে এসে তবে অপারেশন শুরু হয়। হাসপাতালে রক্ত না থাকায়, স্থানীয়রাই পরে ডোনার জোগাড় করে এনে রক্তদানের ব্যবস্থা করেন। তবে অপারেশনের পর রোগীকে বর্ধমানে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়। তবে কেন এত গুরুতর জখম একজন রোগীকে এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কার্যত বিনা চিকিত্সায় ফেলে রাখা হল, এনিয়ে মুখে কুলুপ কাটোয়া হাসপাতালের।