Kaliachak Murder: প্রাণে মারার হুমকিতে মুখে কুলুপ? আসিফের দাদা-মামার বয়ান রেকর্ড আজ
সে বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে ব্ল্যাকমেইল করত ছোট ভাগ্নে আসিফ। প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কালিয়াচক খুনকাণ্ডে অভিযুক্ত আসিফ মহম্মদের দাদা আরিফ মহম্মদ ও তার মামার শিস মহম্মদের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড হয় আজ (বৃহস্পতিবার)। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে রেকর্ড করা হয় তাদের বয়ান। আরিফ ও তার মামাকে আজ সকালেই মালদা জেলা আদালতে নিয়ে আসা হয়। অন্যদিকে, গ্রেফতার হওয়া আসিফের দুই বন্ধু সাবির আলি ও মহম্মদ মাফুজকে এদিন মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়। আজই শেষ হচ্ছে তাদের চার দিনের পুলিস রিমান্ড।
জানা গিয়েছে, আসিফের অপকর্ম জানার পর ভয়ে মুখ খুলতে পারেন না পরিবারের সদস্যরা। মূলত, খুন ও অত্যাচারের ভয়েই তাঁরা চুপ ছিলেন। সব কিছু জেনেও খুনের ভয়ে মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন মামাও। আরিফ ভাইয়ের ভয়ে খুনের দিন মামা বাড়িতে আশ্রয় নেন। খুনের ঘটনা জানার পরও মামা কেন চুপ ছিলেন? সে বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে ব্ল্যাকমেইল করত ছোট ভাগ্নে আসিফ। প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেয়।
আরও পড়ুন: টাকা না মেলায় মা-শিশুকে লিফটে উঠতে বাধা আয়াদের! তোলপাড় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক তদন্তে কালিয়াচক একই পরিবারের ৪ জনের খুনের ঘটনা পারিবারিক বিবাদের ফল বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত যত গড়িয়েছে তত বেরিয়ে এসেছে একের পর এক ঘটনা। ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে অপরাধ থেকে শুরু করে অস্ত্রের জোগান, একাধিক ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আসিফ। জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আসিফের যোগাযোগের বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দার। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে সেক্স চ্যাটের নেশাও ছিল আসিফের।
আরও পড়ুন: গ্রামের অমতে বিয়ে, বীরভূমে সামাজিক বয়কট ১২ আদিবাসী পরিবারকে
কীভাবে খুন এবং সেই লাশ গুম করা হল, এই পুরো ঘটনার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, ঘুমের ওষুধ খেত আসিফ। সেই ঘুমের ওষুধ ফলের সসের সঙ্গে মিশিয়েই বাবা, মা, বোন ও ঠাকুমাকে অচৈতন্য করে ফেলেছিল আসিফ। তারপর প্লাইউডের কফিনে সেইসব দেহ শুইয়ে মাটির নীচে চৌবাচ্চায় ডুবিয়ে দেয়। পুলিস যখন দেহ উদ্ধার করে, দেহগুলির তখন আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। চৌবাচ্চা থেকে উদ্ধার হয়েছে চারটি কঙ্কাল। জলে অ্যাসিড মিশিয়ে দেহ লোপাটের পরিকল্পনার কথাও মনে করছেন তদন্তকারীরা। কারণ, অভিযুক্তের ল্যাপটপ ও মোবাইল দেখে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, খুন ও খুনের পর দেহ লোপাটের পদ্ধতি নিয়ে রীতিমতো পড়াশোনা করেছিল আসিফ। বাড়ির গুদাম ঘর থেকে বেশ কয়েকটি রাসায়নিক ভর্তি ড্রামও পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।