চুরির পর আত্মরক্ষার্থেই মহিলাদের খুন করত কামরুজ্জমান, দাবি পুলিস সুপারের
মিটার দেখার নাম করে একাকী মহিলাদের বাড়িতে ঢুকতে সে। তারপরই 'কাজ' সারত।
নিজস্ব প্রতিবেদন : চুরি করার উদ্দেশ্যেই খুন করত মহিলাদের। চুরি করার পর যাতে নিজে ধরা না পড়ে যায়, তাই আত্মরক্ষার্থে একা মহিলাদের খুন করত কালনার সিরিয়াল কিলার কামরুজ্জামান সরকার। আজ কালনা থানায় কামরুজ্জামানকে প্রায় ৩ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরা করে পুলিস। জেরার পর এমনটাই দাবি করেছেন পুলিস সুপার।
জেরায় উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধনী পরিবারকে নয়। অর্থের দিকে দুর্বল পরিবারকেই নিশানা করত কমরুজ্জামান। পাশাপাশি, কালনায় সিরিয়াল কিলার কামরুজ্জমানের নিশানা থেকে যাঁরা প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন, তাঁদের দাবি চেনম্যান কামরুজ্জমান একা কুকীর্তি সারতেন না। তার সাথে থাকত আরও একজন। যে কামরুজ্জমানের কুকীর্তিতে তাকে মদত দিত। সেই দ্বিতীয় অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।
লাল বাইক ও লাল হেলমেটের সূত্র ধরে পূর্ব বর্ধমানের কালনার 'চেনম্যান' শেখ কামরুজ্জামানকে শণাক্ত করা হয়েছে। বাড়িতে একা থাকার সুযোগ নিয়েই লোহার শিকল ও রড নিয়ে মহিলাদের ওপর হামলা চালাত সে। তারপর চলত বিকৃত যৌন অত্যাচার। ফিটফাট জামা পড়ে সক্কাল সক্কাল বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ত চেনম্যান। কোন কাজে যাচ্ছে তা কেউই জানত না।
আরও পড়ুন, বাংলায় বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক, পদ্মশিবিরে যোগ দিচ্ছেন হাজারে হাজারে শাসকদলের কর্মী
জানা গিয়েছে, মিটার দেখার নাম করে একাকী মহিলাদের বাড়িতে ঢুকতে সে। এরপর পিছন থেকে লোহার রড দিয়ে মাথার আঘাত করত। তারপর লোহার চেন গলায় পেঁচিয়ে খুন করাই ছিল তার উদ্দেশ্য। মৃত্যুর পর মহিলাদের যৌনাঙ্গ ছিন্নভিন্ন করার চেষ্টাও করত সে। আট বছর ধরে এই কাজ করে চলেছে সে। বলাগড়, পাণ্ডুয়া, কালনায় রীতিমতো ত্রাস হয়ে উঠেছিল।
উল্লেখ্য কামরুজ্জমানের আগে একটি বিয়ে ছিল। কিন্তু সেই বিয়ের কথা পুলিসের কাছে প্রথমে স্বীকার করেনি সে। মুর্শিদাবাদে প্রথম বিয়ে হয়েছিল তার। পরে তা বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর দ্বিতীয়বার বিয়ে করে কামরুজ্জামান। দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুজ্জমানের এসব কুকীর্তির ব্যাপারে কিছুই জানতেন না বলে দাবি।