দলের অন্দরে প্রশ্নের মুখে সিপিএমের জেলা নেতৃত্বের 'লাইফস্টাইল'

সিপিএমে রক্তক্ষরণ আটকাতে স্ক্যানারে জেলা নেতৃত্বের একাংশের লাইফস্টাইল। জীবনযাত্রায় রাশ টানতে ব্যয় সঙ্কোচের পথে হাঁটতে চাইছে দল। তা নিয়েই দলীয় নেতৃত্বের একাংশে বাড়ছে ক্ষোভ। ক্ষোভ সামাল দিয়ে দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে বদ্ধপরিকর আলিমুদ্দিন।

Updated By: May 1, 2017, 09:15 AM IST
দলের অন্দরে প্রশ্নের মুখে সিপিএমের জেলা নেতৃত্বের 'লাইফস্টাইল'

ওয়েব ডেস্ক: সিপিএমে রক্তক্ষরণ আটকাতে স্ক্যানারে জেলা নেতৃত্বের একাংশের লাইফস্টাইল। জীবনযাত্রায় রাশ টানতে ব্যয় সঙ্কোচের পথে হাঁটতে চাইছে দল। তা নিয়েই দলীয় নেতৃত্বের একাংশে বাড়ছে ক্ষোভ। ক্ষোভ সামাল দিয়ে দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে বদ্ধপরিকর আলিমুদ্দিন।

২০১১-এ ক্ষমতা যাওয়ার পর থেকে দলে ক্ষয় অব্যাহত।  প্রধান বিরোধী দলের তকমা আগেই গিয়েছে। কাঁথি উপনির্বাচনের ছবিটা সিপিএমের কাছে আশঙ্কার দরজাটা হাট করে খুলে দিয়েছে। কাঁথি-দক্ষিণের ফল দেখে মাথায় হাত বামেদের। বামেদের একসময়ের শক্ত ঘাঁটি মেদিনীপুরে জামানত জব্দ! কাটাছেঁড়ায় অশনি সঙ্কেত স্পষ্ট।

সিপিএমে এখন প্রধান রোগ নিষ্ক্রিয়তা। সূত্রের খবর, নিষ্ক্রিয় কর্মীরাই বিজেপির দিকে ঝুঁকছে। বিজেপির উত্থান, গেরুয়া শিবিরের ধাক্কায় নিজেদের ভোট ব্যাঙ্কে ধস নামছে। কর্মী কমছে। সর্বক্ষণের কর্মীদের কাছ থেকে লেভি আসছে না। ফলে, ফান্ডের হালও খারাপ। দলের একাংশের লাইফস্টাইল নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই পরিস্থিতিতে জনমানসে ভাবমূর্তি ফেরানোর উপায় কী?

হুগলি, বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলায় প্রাসাদোপম পার্টি অফিস। আলিমুদ্দিনে যেখানে মাত্র একটি ঘরে এসি, সেখানে এই সব পার্টি অফিস এসি ছাড়া ভাবতেই পারে না। জেলা সম্পাদকের ঘরও শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। আলিমুদ্দিনের শীর্ষনেতাদের অনেকেই ট্রেনে চড়েন। কোনও সভাসমিতিতে একসঙ্গে যেতে হলে একটি গাড়িতেই কাজ মিটিয়ে নেন। সেখানে বিলাসবহুল এসি গাড়ি ছাড়া কোথাও যাওয়ার কথা ভাবতেই পারেন না জেলার শীর্ষ নেতাদের একাংশ। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসুরা সাদামাটা জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত। কিন্তু জেলা নেতাদের একাংশের বিলাসবহুল জীবন। ভাবমূর্তি ফেরাতে সাধারণ মানুষের কাছে পৌছতে হবে। রাশ টানতে হবে বিলাসবহুল জীবনযাত্রায়। অবস্থা ফেরাতে ব্যয় সঙ্কোচের পথে হাঁটতে চাইছে দল। কিন্তু তাতে দলের একটা অংশে ক্ষোভ বাড়ছে।

আলিমুদ্দিন অবশ্য চাইছে, সামাল দিতেই হবে সেই ক্ষোভ। দলের নিষ্ক্রিয় কর্মীদের নতুন করে কমিউনিস্ট মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ করতে, নিচুতলার কর্মীদের উদ্যম বাড়াতে দায়িত্ব নিতে হবে জেলার নেতা-নেত্রীদের। জীবনযাত্রায় রাশ টানতেই হবে। (আরও পড়ুন- উত্তপ্ত সন্দেশখালির রাজবাড়ি)

.