মোদীকে কুর্তা-মিষ্টি পাঠানোর কথা 'স্বীকার' করে নিলেন মমতা
মোদী বলেন, "এটা বলে দিলে নির্বাচনে লোকসান হতে পারে আমার। মমতাদি প্রতিবছর একটা-দুটো কুর্তা নিজে পছন্দ করে আমাকে পাঠান।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : কুর্তা-মিষ্টি নিয়ে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। সিউড়ির জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানালেন, "কুর্তা দিলে দোষ কোথায়? পয়লা বৈশাখে দিই। দুর্গা পুজায় দিই। আমও পাঠাই।" তৃণমূল নেত্রীর দাবি, এরকম উপহার তিনি অনেককেই পাঠিয়ে থাকেন। কিন্তু এই 'সৌজন্য'কে ভাঙিয়ে তিনি কোনও রাজনীতি করেন না বলেও সাফ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, বিরোধী নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে এক সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেন, প্রতি বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে কুর্তা ও মিষ্টি পাঠান। সেই সাক্ষাতকারে অক্ষয় কুমারের করা এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী নিজেই টেনে আনেন মমতার নাম। মোদী বলেন, "এটা বলে দিলে নির্বাচনে লোকসান হতে পারে আমার। মমতাদি প্রতিবছর একটা-দুটো কুর্তা নিজে পছন্দ করে আমাকে পাঠান। ঢাকা সফরে শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। তারপর থেকে প্রতি বছর দু-তিনবার আমায় মিষ্টি পাঠান উনি। সেটা দেখে মমতাদি-ও মিষ্টি পাঠান।"
আরও পড়ুন, মদন মিত্রের মেগা কামব্যাক, ভাটপাড়া বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী করল তৃণমূল
খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীর মুখে এহেন 'সম্পর্কের' কথা সামনে আসার পরই শোরগোল পড়ে যায়। রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়ে যায় নানাবিধ প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, গতকাল মোদীর বক্তব্যের পরই তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়েন টুইটারে লেখেন, "৫৬ ইঞ্চির মিত্রোঁ ২৪ দিন আগে আপনাকে বিতর্কে অংশ নেওয়ার চ্যালেঞ্জ করেছিলেন মমতা। বিতর্কে আসুন। কিন্তু আপনি মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে গিমিক করছেন।" কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর দাবি সরাসরি খণ্ডন করেনি তৃণমূল। এনিয়ে গতকাল মুখ খোলেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বদলে জবাব দেওয়ার জন্য বেছে নেন আজকের সিউড়ির সভামঞ্চকে।