প্রার্থীতালিকা প্রকাশ পেতেই মালবাজারে আবার প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল
যেখানে বলা হয়েছে এলাকার মানুষের কথা শুনে প্রার্থী মনোনীত করা হবে। সেখানে তা করেনি নেতৃত্ব। এলাকায় ২১টি আসনের মধ্যে এলাকার পোড়খাওয়া নেতৃত্ব বাদশা আহমেদ গোষ্ঠীকে মাত্র ৭টি আসনের প্রার্থীপদ দেওয়া হয়েছে।
অরূপ বসাক: প্রার্থীতালিকা প্রকাশ পেতেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল আবারও প্রকাশ্যে। মালবাজার ব্লকের অন্তর্গত কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েত বরাবরই শিরোনামে এলাকার দুই নেতার লড়াই দেখতে। বুধবার দুপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ পেতেই ফের কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দুই গোষ্ঠীর লড়াই আছড়ে পড়ল মালবাজার পৌরসভার কার্যালয়ে। প্রার্থীতালিকা প্রকাশ পেতেই ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দেখা যায় এলাকার যুযুধান দুই গোষ্ঠীর নেতা তথা বাদশা আহমেদ এবং রাজা শর্মা গোষ্ঠীর লোকেদের প্রকাশ্যে বিক্ষোভ দেখাতে।
তবে মূলত এদিন বাদশা আহমেদ গোষ্ঠীর লোকেরাই প্রার্থীতালিকাকে কেন্দ্র করে সোচ্চার হয়ে ওঠেন মাল পৌর কার্যালয়ের সামনে। প্রসঙ্গত ২০/ ১৫২ পার্টের প্রার্থী চয়ণকে কেন্দ্র করেই ক্ষোভ জন্মেছে এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের অন্তরেই। এদিন কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসের ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা বিদায়ী উপপ্রধান শামসুর নেহারের নাম কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। এলাকার হিমু সেন, মহম্মদ রবিউল আলম, আশানুর আলম সহ ওই এলাকার একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কর্মী সমর্থকরা অন্য প্রার্থীর নাম করে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। মূলত এরা সকলেই বাদশা আহমেদ গোষ্ঠীর লোক বলেই এলাকায় পরিচিত।
এদিন হিমু সেন বলেন, যেখানে বলা হয়েছে এলাকার মানুষের কথা শুনে প্রার্থী মনোনীত করা হবে। সেখানে তা করেনি নেতৃত্ব। আশানূর আলম, মহম্মদ রবিউল আলম প্রমুখ একই সুরে বলেন, এলাকায় ২১টি আসনের মধ্যে এলাকার পোড়খাওয়া নেতৃত্ব বাদশা আহমেদ গোষ্ঠীকে মাত্র ৭টি আসনের প্রার্থীপদ দেওয়া হয়েছে। বাকি সমস্ত আসনেই রাজা শর্মা নিজের পছন্দ মতন প্রার্থী দিয়েছেন। অবিলম্বে তা পরিবর্তন করতে হবে। এদিন মালবাজার ব্লকের কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একাধিক আসনের সদস্যরা তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
তবে গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়ে রাজা এবং বাদশা উভয় গোষ্ঠীর কেউই মুখ খুলতে চাননি। অন্যদিকে এদিনের এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, দল অনেক বড়। রাজ্য স্তরের নেতৃত্ব প্রার্থী তালিকা ঠিক করে পাঠিয়েছেন। সেটাই চূড়ান্ত। দল বড় হওয়ায় অনেকেই প্রার্থী হতে চাইবেন, কিন্তু দল একজনকেই টিকিট দেবে সেটাই নিয়ম। দলের আভ্যন্তরীণ ক্ষোভ বিক্ষোভ মিটে যাবে। তবে স্থানীয় দুই গোষ্ঠীর কর্মী সমর্থকদের এই বিদ্রোহে ২০১৮ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় কিনা তা সময়ই বলবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন, Recruitmant Scam: কমিশনের লাখ লাখ টাকা মেরে দিয়েছেন কালীঘাটের কাকু, আদালত চত্বরে তুলকালাম পাওনাদারের