"আমাকে বলো না যে কাজ চলছে! কবে শেষ হবে? এটা নাটক হচ্ছে?" কড়া ধমক মুখ্যমন্ত্রীর

গত লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপির বহিরাগত প্রার্থী পাহাড়ের মন জিতে নিয়েছেন। পর্যটনের উন্নয়নে প্রশাসনিক পদক্ষেপ ঠিক মতো না হওয়ায় জিটিএ, এমনকি স্বশাসিত বোর্ডগুলিকেও কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।

Reported By: কমলিকা সেনগুপ্ত | Updated By: Oct 23, 2019, 07:29 PM IST
"আমাকে বলো না যে কাজ চলছে! কবে শেষ হবে? এটা নাটক হচ্ছে?" কড়া ধমক মুখ্যমন্ত্রীর

কমলিকা সেনগুপ্ত : কার্শিয়ঙের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় উঠে এল লোকসভা নির্বাচনে পাহাড়ে পরাজয়ের ক্ষোভ। পাশাপাশি শান্তি-উন্নয়নের রাস্তাতেই যে তিনি পাহাড়বাসীর মন জয়ের চেষ্টা করে যাবেন, এদিন তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা। একইসঙ্গে উন্নয়নে যাতে ঢিলেমি না আসে সেজন্য পূর্ত দফতর থেকে জিটিএ, সবাইকেই সতর্ক করেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী হওয়া পর বারবার পাহাড়ে গিয়েছেন। ২০১৪-এ পাহাড় সাড়া দেয়নি। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেও দার্জিলিং-কালিম্পং-কার্শিয়াঙের উন্নয়নের কথা বারবার বলেছেন। গত লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপির বহিরাগত প্রার্থী পাহাড়ের মন জিতে নিয়েছেন। একমাত্র চোপড়া ছাড়া বাকি সব বিধানসভাতেই পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। এজন্য যে তাঁর ক্ষোভ-দুঃখ আছে, তা খোলাখুলিই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আপনারা নির্বাচনে যে পরিবর্তন করেছেন তাতে পাহাড়ে স্থিরতা আসবে না। একজন বাইরে থেকে এসে টাকা খরচ করে ভোট নিয়ে গেল।" প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে চা-বাগানে বিজেপির সমর্থন বেড়েছে বলেই খবর। এ দিন, বহিরাগতরা যাতে বাগানে আনাগোনা বাড়াতে না পারে, সে জন্য পুলিসকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিতে অতিরিক্ত খরচ, কালিম্পংয়ে প্রশাসনিক ভবন তৈরি না হওয়া, এই সব কিছু নিয়েই আজ মুখ্যমন্ত্রীর তোপের মুখে পড়ে পূর্ত দফতর। মিরিক উন্নয়ন নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, "মিরিকে কটেজ তৈরি করতে আর কতদিন লাগবে? আমাকে এগুলো বলো না যে কাজ চলছে! কবে শেষ হবে? এটা নাটক হচ্ছে না চ্যাংরামো হচ্ছে? একবার এই দফতর আরেকবার ওই দফতর? কেউ এসে থাকতে পারে না। কিছু করুন লেকটার।"

পর্যটনের উন্নয়নে প্রশাসনিক পদক্ষেপ ঠিক মতো না হওয়ায় জিটিএ, এমনকি স্বশাসিত বোর্ডগুলিকেও কড়া বার্তা দেন তিনি। বোর্ডের কাছে জানতে চান, "কত টাকা খরচ হয়েছে বাড়ি তৈরিতে? কে কী খরচ করেছে? কত বাড়ি তৈরি হয়েছে?" তার রিপোর্ট চান মুখ্যমন্ত্রী। একটা স্পেশাল রিপোর্ট তৈরি করে তাঁর কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য সরকারি প্রকল্পে ২ বছরের ইন্টার্নশিপ! বিজেপি বলল, 'ভাঁওতাবাজি'

একইসঙ্গে আজ দার্জিলিংয়ের রাস্তা খারাপ, অপরিষ্কার নিয়েও ধমক দেন তিনি। দিনে তিনবার করে রাস্তা পরিষ্কার করার নির্দেশ দেন।  লালকুঠির সামনে চেয়ারে কী করে শ্যাওলা জমে রয়েছে? কেউ কী কিছু দেখতে পাচ্ছে না? প্রশাসনিক বৈঠকে জানতে চান তিনি। নির্দেশ দেন অবিলম্বে সব পরিষ্কার করতে। কার্শিয়াঙে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের কাজও আজ ঘুরে দেখেন তিনি।

.