কেন্দ্রের সঙ্গে একযোগে করোনার টিকা দিতে রাজি রাজ্য, মোদীকে বললেন মমতা

"দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ছট প্রভৃতি উত্সব ও লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়া সত্ত্বেও রাজ্য়ে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমেছে। সুস্থতার হার বেড়েছে।"

Reported By: সুতপা সেন | Updated By: Nov 24, 2020, 02:28 PM IST
কেন্দ্রের সঙ্গে একযোগে করোনার টিকা দিতে রাজি রাজ্য, মোদীকে বললেন মমতা

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সুস্থতার হার বেড়েছে। যত তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন আসবে, তত তাড়াতাড়ি কেন্দ্রের সঙ্গে সংযোগ রেখে টিকাকরণ শুরু করতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার। এদিন করোনা পরিস্থিতি ও কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা সফরে বর্তমানে বাঁকুড়ায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাঁকুড়া সার্কিট হাউজ থেকেই এদিন ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন মমতা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বাস্থ্যসচিব। 

মোদীর সঙ্গে বৈঠকে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, "সারা দেশে করোনার টিকার দিকে তাকিয়ে আছে। অতিমারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে টিকাকরণ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গও প্রস্তুত আছে। টিকাকরণের জন্য রাজ্য়ে প্রশিক্ষিত দক্ষ ব্যক্তি ও পরিকাঠামো প্রস্তুত। যত দ্রুত ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, কেন্দ্র ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখে তত তাড়াতাড়িই কাজ শুরু করে দেবে বাংলা। যাতে সবাই দ্রুত ভ্যাকসিন পায়, তা নিশ্চিত করা হবে।" 

একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, "দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ছট প্রভৃতি উত্সব ও লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়া সত্ত্বেও রাজ্য়ে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে। রাজ্যে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমেছে। সুস্থতার হার বেড়েছে। বাংলা সীমান্তবর্তী রাজ্য এবং তার উপর পড়শি রাজ্য় থেকে রোগীর চাপও রয়েছে, তা সত্ত্বেও দক্ষতার সঙ্গে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিসকর্মী সহ আশাকর্মীরা দিনরাত এক করে করোনার বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছেন। তা সত্ত্বেও যে মৃত্যুগুলি রোখা সম্ভব হয়নি, সেগুলি মূলত কো-মরবিডিটি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে।" জনস্বাস্থ্য সম্বন্ধে মানুষকে সচেতন করতে আশাকর্মীরা প্রায় ৪৫ কোটি বাড়িতে গিয়েছেন বলে এদিন বৈঠকে উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পাশাপাশি, এদিন বৈঠকে মোদীর কাছে ফের কেন্দ্রীয় সাহায্য নিয়ে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ করেন, কেন্দ্র বকেয়া টাকা দিচ্ছে না। মমতা বলেন, "রাজ্যের জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সাহায্য মেলেনি। জিএসটি বাবদ রাজ্য কেন্দ্রের কাছ ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পায়। সেই টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। এদিকে বিভিন্ন খাতে রাজ্যের খরচ বেড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য ৪০০০ কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছে। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে দিয়েছে মাত্র ১৯৩ কোটি টাকা।" একইসঙ্গে জনস্বাস্থ্য সচেতনতায় রাজনৈতিক দলগুলির মিছিলের উপর রাশ টানা জরুরি বলেও মোদীকে জানান মমতা।

আরও পড়ুন, 'দিল্লির সরকার আলুর সরকার, ওরা খেতে দিচ্ছে না,' মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর

.