বিধানসভায় তপশিলি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মমতা, থাকবেন বিরোধী বিধায়করাও
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির উত্থান স্পষ্ট হতেই বাম - কংগ্রেসকে কাছে টানার চেষ্টায় তৃণমূল। ক্ষমতায় আসার পর থেকে যে সিপিএমকে একেবারে ব্রাত্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ফের তাদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেন তিনি। আর এবার মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে ডাক পেলেন বাম ও কংগ্রেস বিধায়করা। বাদ গেলেন না বিজেপির বিধায়করাও।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির উত্থান স্পষ্ট হতেই বাম - কংগ্রেসকে কাছে টানার চেষ্টায় তৃণমূল। ক্ষমতায় আসার পর থেকে যে সিপিএমকে একেবারে ব্রাত্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ফের তাদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেন তিনি। আর এবার মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে ডাক পেলেন বাম ও কংগ্রেস বিধায়করা। বাদ গেলেন না বিজেপির বিধায়করাও।
মঙ্গলবার বিধানসভায় তপশিলি জাতিভুক্ত বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় রয়েছেন ৮৪ জন তপশিলিজাতিভুক্ত বিধায়ক। এই বৈঠকে ডাক পেয়েছেন তাঁরা সবাই। ডাক পেয়েছেন বাম, বিজেপি ও কংগ্রেসের তপশিলি বিধায়করাও।
টলিপাড়া থাকবে কার দখলে, তা নিয়ে শুরু হল BJP - RSS-এর ঢিসুম ঢিসুম
২০১১-র ক্ষমতায় আসার পর আগে থেকেই বামেদের বয়কট করা শুরু করে তৃণমূল। এমনকী তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তো বিয়েবাড়িতেও সিপিএমের পাশে না বসার নিদান দেন দলীয় কর্মীদের। তার পর রাজ্যজুড়ে একের পর এক প্রশাসনিক বৈঠক করলেও ডাক পাননি বাম - কংগ্রেস বিধায়করা। অভিযোগ, সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পৌঁছয়নি বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের কাছে।
তবে লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে বদলেছে পরিস্থিতি। বিজেপির দিকে জনসমর্থন আঁচ করে বাম-কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত করতে নেমেছে তৃণমূল। সম্প্রতি রাজনৈতিক রণনীতিকার হিসাবে প্রশান্ত কিশোরকে পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পরামর্শেই কি বিরোধীদের সঙ্গে সৌজন্য রক্ষার পথে ফিরলেন মমতা? প্রশ্ন ঘুরছে।