Fraud: প্রতারণা করে মাসে রোজগার ১৮ লক্ষ! দামি গাড়িতে ঘুরে বেড়াত প্রতারক...
পুলিসের চোখে ধুলো দিতে গাড়িতে লাগানো থাকত প্রেসের স্টিকার? অবশেষ ধরা পড়ল অভিযুক্ত। উদ্ধার হল ১৯০টি ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, ৩টি আইফোন, সোয়াইপার মেশিন,প্রেস কার্ড। সঙ্গে নগদ সাতাশ হাজার টাকাও!
বিধান সরকার: প্রোমোটিংয়ের ব্যবসা ছেড়ে প্রতারণার কারবার? স্রেফ এটিএম থেকে টাকা হাতানো নয়, গাড়িতে প্রেসের স্টিকার লাগিয়ে ঘুরে বেড়াত অভিযুক্ত। অবশেষে পুলিসের জালে 'প্রতারক'। ধৃতের কাছে পাওয়া গেল ১৯০টি ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, ৩টি আইফোন, সোয়াইপার মেশিন,প্রেস কার্ড। সঙ্গে নগদ সাতাশ হাজার টাকাও! ঘটনাস্থল, হুগলির দাদপুর।
এদিন দাদপুরে থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন হুগলির(গ্রামীণ) নিমাই চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন সিআই ধনিয়াখালি দেবাঞ্জন ভট্টাচার্য ও ওসি প্রশান্ত চৌধুরীও। ডিএসপি জানান, '২৭ ডিসেম্বর দাদপুরের হারিট বাজারে একটি ব্য়াঙ্কের সামনে ডিউটি করছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। বাজারে দুটি এটিএম কিয়স্ক রয়েছে। সেখানে দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়েছিল একটি দামী গাড়ি'। কেন? ডিএসপি বলেন, 'গাড়ির চালক মাঝেমধ্যে এটিএম ঢুকছেন, আবার বাইরে এসে গাড়িতে বসছে। সন্দেহ হয় কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারের। দাদপুর থানায় খবর দেন তিনি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ওসি। পুলিস দেখে পালানোর চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে তাকে তাকে ধরে ফেলে পুলিস'।
আরও পড়ুন: SSC Group D Recruitment: টানা ৪ বছর পর জানা গেল স্কুলের গ্রুপ ডি কর্মী আসলে ভুয়ো, তারপর...
পুলিস সূ্ত্রে খবর, ধৃতের নাম সুব্রত গিরি। আদতে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বাসিন্দা তিনি। তবে এখন থাকেন উত্তর ২৪ নিমতায়। একসময়ে নাকি প্রামোটিংয়ে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন! বছর দুয়েক ধরে প্রতারণার কারবার শুরু করেছেন সুব্রত। কীভাবে টাকা হাতিয়ে নিতেন? হাওড়া, বর্ধমান, হুগলি-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় ঘোরাঘুরি করতেন এটিএমের সামনে। যাঁরা টাকা তুলতে আসতেন, তাঁদের সাহায্য করার অছিলায় এটিম কার্ড বদলে ফেলতেন ওই ব্যক্তি। তারপর? পিন নম্বর জেনে টাকা তুলে নিতেন সুব্রত। বেআইনি পথে মাসে রোজগার ছিল ১৮ লক্ষ টাকা! সেই টাকায় কেনা গাড়িতে লাগানো থাকত প্রেসের স্টিকার, যাতে পুলিসের নজর না পড়ে!