Raiganj: বিমা করাতে গিয়ে দেখলেন গাড়ির মালিকই তিনি নন, আজব জালিয়াতিতে বিপাকে ব্যবসায়ী
প্রশ্ন হচ্ছে গাড়ির নাম পরিবর্তন হয়ে গেলেই কি সমস্যা মিটে গেল? চোরাই গাড়ির এই চক্রকে ধরতে কি করছেন এই আধিকারিকরা? এই সব প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুর ২ টো পর্যন্ত সরকারি ওয়েবসাইটে গাড়ির মালিক শুভঙ্কর দাস দেখাচ্ছে
ভবানন্দ সিংহ: বিপুল টাকা খরচ করে গাড়ি কিনেছেন। গাড়ির কাগজ আপনার হাতে। কিন্তু শেষপর্যন্ত সরকারি ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারলেন ওই গাড়ি আপনার নামে নেই। আপনার হাতে শুধুই কাগজ। বিমা করাতে গিয়ে এমনই সমস্যার মুখোমুখি উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির বাসিন্দা অমর কুমার দাস। তাঁর সঙ্গে জড়িয়েছেন তাঁর বন্ধু সুদীপ অধিকারীও।
আরও পড়ুন-মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ, খুন বাবা!
করণদিঘির ব্যবসায়ী অমর কুমার দাস একটি সেকেন্ড হ্যান্ড অল্টো গাড়ি কিনেছিলেন ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২১। সেই দিনেই গাড়ির মালিকানাও তিনি নিজের নামে করিয়েছিলেন রায়গঞ্জ RTO অফিস থেকে। সব কিছু ঠিকিই চলছিল। অমরবাবু কিছুদিন আগে আরও একটি গাড়ি কিনেছেন, আর ব্যবসার পার্টনার সুদীপ অধিকারীকে তার প্রিয় অল্টো গাড়িটি ব্যবহার করতে দেন। কথা হয় ব্যবসার হিসাব করার সময় গাড়ির মুল্য লেনদেন করে গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন করে নেবেন।
এদিকে, গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে সেই অল্টো গাড়ির ইন্স্যুরেন্স ফেল হয়ে যায়। সুদীপবাবু তাদের বন্ধু কৌশিক রায়কে ইন্স্যুরেন্স করার জন্য বলেন। সমস্যা সৃষ্টি হয় সেখান থেকেই। সরকারি ওয়েব সাইট mparivahan গিয়ে দেখা যাচ্ছে গাড়ির মালিকানা আর অমরবাবুর নেই। সরকারি ওয়েবসাইট বলছে গাড়ির মালিক কোচবিহার জেলার শুভঙ্কর দাস। গাড়ির মালিকানা মাথাভাঙ্গা RTO অফিস থেকে পরিবর্তন হয়েছে। মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে ওই ব্যবসায়ীদের। তারা মাথাভাঙ্গা RTO র সাথে ফোনে কথা বলেন। মাথাভাঙ্গা আরটিও বলেন শুভঙ্করের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে গাড়ির কাগজ ঠিক করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
প্রশ্ন হচ্ছে গাড়ির নাম পরিবর্তন হয়ে গেলেই কি সমস্যা মিটে গেল? চোরাই গাড়ির এই চক্রকে ধরতে কি করছেন এই আধিকারিকরা? এই সব প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুর ২ টো পর্যন্ত সরকারি ওয়েবসাইটে গাড়ির মালিক শুভঙ্কর দাস দেখাচ্ছে। আসল গাড়ির মালিক অমর দাস বা তার বন্ধু নিজেদের গাড়ি চালাতে পারছেন না।
ওই গাড়িটি কেনা হয়েছিল পুরাতন গাড়ি কেনা বেচা করার ব্যবসায়ী কৌশিক রায়ের কাছ থেকে। তিনি জানিয়েছেন এটা বিরাট বড় চক্র। চক্রে অনেক বড় বড় মাথা আছে। এই চক্রের পর্দা ফাঁস না হলে সাধারণ মানুষ বিপদে পড়বে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে আমরা রায়গঞ্জ RTO অফিসেও যাই, কিন্তু সবাই নিজের ও সহকর্মীদের চেয়ারকে জাস্টিফাই করতে ব্যস্ত হয়ে উঠলেন।