Manipur Landslide: নাগরাকাটায় ফিরল শহিদ জওয়ানের দেহ, চোখের জলে শেষ বিদায় বীর সন্তানকে
নাগ্রাকাটার প্রচুর মানুষ ওদলাবাড়িতে এসে পৌছায়। ওদলাবাড়ি থেকে জাতীয় সড়ক দিয়ে বাইক র্যালি করে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নাগ্রাকাটার বাড়িতে
অরূপ বসাক: মণিপুরের বিধ্বংসী ধসে শহিদ সেনা জওয়ান ও আধিকারিকদের মধ্যে ছিলেন মালবাজারের নাগরাকাটার শঙ্কর ছেত্রী(৩০)। শনিবার দুপুরে শহিদ সেই সেনানীর নিথর দেহ ঘরে ফিরল।
মণিপুরের নানে জেলাতে রেলের একটি নির্মীয়মান প্রকল্পে অন্যান্যদের সঙ্গে শঙ্করও নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে ছিলেন। আচমকা পাহাড় থেকে নেমে আসা বিশাল ধ্বস তাঁদের ওপর আছড়ে পড়ে। মারাত্মক জখম হন তিনি। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
শহিদ শঙ্করের স্ত্রী ও পাঁচ বছরের কন্যা রয়েছে। তিন ভাইয়ের মধ্যে সেই ছোট। প্রথম থেকেই স্বপ্ন দেখতেন সেনায় যোগ দিয়ে দেশ সেবার। সেই দেশের কাজেই বীরের মৃত্যু বরণ করলেন তিনি।
শনিবার শিলিগুড়ির বাগডোগরায় শঙ্কর ছেত্রীর কফিনবন্দি মৃতদেহ এসে পৌছায়। সেখান থেকে সেনাবাহিনীর গাড়িতে নাগ্রাকাটার বাড়িতে পৌছয় তার দেহ।
এদিন নাগ্রাকাটার প্রচুর মানুষ ওদলাবাড়িতে এসে পৌছায়। ওদলাবাড়ি থেকে জাতীয় সড়ক দিয়ে বাইক র্যালি করে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নাগ্রাকাটার বাড়িতে। শঙ্কর ছেত্রীকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে ওদলাবাড়ি, মালবাজার, চালসায় রাস্তায় রাস্তায় জাতীয় পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বহু মানুষ। এদিন সবার চোখেমুখে বিষাদের সুর। চোখের জল ও সামরিক মর্যাদায় বিদায় জানানো হল বীর শঙ্করকে।
এমন মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে জন বার্লা বলেন, আজ আমরা এক ভাইকে হারালাম যিনি দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন। ভূমিধসে আরও অনেক ভাই শহিদ হয়েছেন। আমি তাদের প্রণাম জানাই। শহিদ জওয়ান শঙ্কর ছেত্রীর পাশে রয়েছি।
আরও পড়ুন-Manipur Landslide: শনিবার পাহাড়ে ফিরছে মণিপুরের ধসে মৃত ৯ জওয়ানের দেহ, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর