দলে কেন মনিরুল, গণইস্তফার হুমকি বীরভূম বিজেপির নেতা-কর্মীদের
রাজ্যে বিতর্কিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে অন্যতম মনিরুল ইসলাম। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে। এমনকী প্রকাশ্যে মঞ্চে সেই খুনের কথা স্বীকারও করেছেন তিনি। লাভপুর ও সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগও পুরনো।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপিতে যোগদানের ঢল নেমেছে রাজ্যজুড়ে। তৃণমূল - সিপিএম থেকে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ঝাঁকে ঝাঁকে নেতা-বিধায়ক-কাউন্সিলর। দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে রোজই চলছে বিজেপিতে যোগদান পর্ব। বুধবার সেখানে দলবদল করেন লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। আর তাতেই কার্যত এক লহমায় খান খান হয়ে গিয়েছে উজ্জাপনের আবহ। মনিরুলের বিজেপিতে যোগদানে কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছে বীরভূম বিজেপি। এমনকী প্রয়োজনে দল ছাড়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
রাজ্যে বিতর্কিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে অন্যতম মনিরুল ইসলাম। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে। এমনকী প্রকাশ্যে মঞ্চে সেই খুনের কথা স্বীকারও করেছেন তিনি। লাভপুর ও সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগও পুরনো। তৃণমূলে অনুব্রতর বিপরীত গোষ্ঠীর নেতা হিসাবে পরিচিত হলেও নিজের এলাকায় দাপিয়ে রাজনীতি করেন মনিরুল।
মন্ত্রী হতে চলেছেন দেবশ্রী চৌধুরী! অমিত শাহের ফোনে জল্পনা
মনিরুলের সন্ত্রাস থেকে বাঁচতে বীরভূমে বিজেপির হাত ধরেছিলেন বহু রাজনৈতিক নেতাকর্মী। তাদের অনেকেই বুধবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছেন কালোসোনা মণ্ডলও।
মনিরুলের বিজেপিতে যোগদানে ক্ষুব্ধ কালোসোনাবাবু বলেন, 'ওর বিরুদ্ধে লড়তে আমরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। ওর অত্যাচারে আমাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। সেই মনিরুলকে দলে নিয়ে ঠিক করেনি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতৃত্ব অবিলম্বে মনিরুলকে দল থেকে বহিষ্কার না করলে দরকারে ইস্তফা দেব।'