Municipal Recruitment Scam | Ayan Sil: রাজ্য জুড়ে সিবিআই হানা, কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভপতি?
সকাল দশটা নাগাদ দশ জনের সিবিআই তদন্তকারী দল চুঁচুড়ায় আসে। দুটি দলে ভাগ হয়ে তল্লাসী শুরু করে তাঁরা। অয়ন শীলের আবাসন এবিএস টাওয়ারে রয়েছে অয়ন শীলের অফিস। সেখানে চলে তল্লাসী। চার ঘন্টা পরে সিবিআই কিছু নথি নিয়ে বেরিয়ে যায়।
বিধান সরকার: পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্য জুড়ে সিবিআই হানা। রাজ্যের একাধিক পুরসভা সহ চুঁচুড়ার জগুদাস পাড়ায় অয়নশীলের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালায় সিবিআই।
সকাল দশটা নাগাদ দশ জনের সিবিআই তদন্তকারী দল চুঁচুড়ায় আসে। দুটি দলে ভাগ হয়ে তল্লাসী শুরু করে তাঁরা। অয়ন শীলের আবাসন এবিএস টাওয়ারে রয়েছে অয়ন শীলের অফিস। সেখানে চলে তল্লাসী। চার ঘন্টা পরে সিবিআই কিছু নথি নিয়ে বেরিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: নদী পেরোতে হচ্ছে হেঁটে! সেতু হয়নি, তলিয়েছে সাঁকো; দীর্ঘ কুড়ি বছর এক ছবি...
অপর দলটি অয়নের বাড়িতে তল্লাসী চালায়। জিজ্ঞাসাবাদ করে অয়নের বাবা-মাকে। সারে পাঁচ ঘন্টা পর সেখান থেকেও বেরিয়ে যায় সিবিআই-এর দল।
শিক্ষা নিয়োগ দূর্নীতির তদন্তে চুঁচুড়ার জগুদাস পাড়ায় এসে অয়ন শীলের সন্ধান পায় ইডি। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রমোটার অয়ন শীলের আবাসনে শান্তনুর ফ্লাট রয়েছে। সেখানে তদন্তে এসে ইডি শান্তনুকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। চুঁচুড়ার তার অফিস এবং সল্টলেকের অফিস থেকে পুরসভায় নিয়োগ সক্রান্ত নথি উদ্ধার করে। ওএমআর শিট, নিয়োগের তালিকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ হয়েছিল আর সেখানেই দূর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
সেই প্রসঙ্গে চুঁচুড়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘শিক্ষক দুর্নীতি তদন্ত করতে গিয়ে হুগলি থেকে পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসে। এরপরই মহামান্য আদালত রায় দেয় পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও তদন্ত করবে সিবিআই। কোথায় কোথায় পুরসভার নিয়োগে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা পয়সা খেয়ে এই পদগুলো বিক্রি করেছে। পশ্চিমবঙ্গের এমন কোনও চাকরি ২০১১ সালের পর থেকে হয়নি যেখানে চাকরি বিক্রি হয়নি। তদন্ত চলছে, আজকে সিবিআই ছাপা মেরেছে আস্তে আস্তে সমস্ত তথ্য বাইরে আসবে। বাংলার মানুষের সামনে পরিষ্কার হয়ে যাবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল চোর। তারা চুরি করে গোটা রাজ্যটাকে শেষ করে দিচ্ছে’।
অয়ন শীলের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি প্রসঙ্গে রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, ‘অয়ন শীলের নামও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে হুগলি জেলা থেকে উঠে আসে। তার সঙ্গে বিভিন্ন নাম, মহিলার নাম উঠে আসে। বিভিন্ন তথ্য সামনে আসে। তদন্ত আবার শুরু হয়েছে অয়ন শীল গ্রেফতার হয়েছে। জেলায় জেলায় বহু আয়ন শীল রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছে কুন্তল ঘোষ। সেই কুন্তল তৃণমূলের যুব নেতা ছিলেন। কুন্তল, শান্তনু এরকম যারা যুব নেতা ছিল তাদের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে যখন যুবা তৈরি করে তারা একত্রিত হয়। এদের কাজ তৃণমূল যুব মানে ছিল টাকা তোলার সিন্ডিকেট, কাট মানির সিন্ডিকেট। তৃণমূল যুবর সমস্ত যারা পদাধিকারী তারা জেলায় জেলায় টাকা তুলেছে, চাকরি বিক্রি করেছে। আজ অয়ন শীলের বাড়ি-ফ্ল্যাটে তল্লাশি চলছে। এর থেকেই নতুন কোন তথ্য বেরিয়ে আসবে। সিবিআই খুব দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত করুক যারা অপরাধী তাদের জেলে ঢোকানোর ব্যবস্থা করুক’।
সভাপতি আরও বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে তদন্ত হচ্ছে। ফিরাদ বাবু বলছেন মহামান্য আদালত এবং তাদের বিচারপতিরা রাজনীতি করছেন। আমার মনে হয় এটা আদালত অবমাননার সমান। তার বিরুদ্ধে সুয়োমটো মামলা আদালতের করা উচিত। তিনি ভয় পাচ্ছেন যদি তদন্তে আস্তে আস্তে তার নাম চলে আসে তখন হ্যাঁকিম সাহেবকে সত্যি সত্যি অনুব্রত টিটমেন্ট করতে তিহার যাত্রা করতে হবে। সেই জন্যই ভয় পেয়ে আছেন’।