ক্লাস হয় না কলেজে, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের
পড়ুয়ারা জানিয়েছে, শুধু পঠনপাঠন নয়, বেহাল দশা কলেজের পরিকাঠামোরও। ছাত্রীদের শৌচাগারে নেই জল। লাইব্রেরিতে নেই বই। নেই কলেজের কোনও পরিচালন সমিতি। ফলে অভিযোগ জানানোর জায়গা নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ছাত্রবিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হল মুর্শিদাবাদের হরিবরপাড়ায়। হাজি একে খান কলেজে পুলিস ঢুকে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পড়ুয়াদের অভিযোগ, নেই রাজ্যে পড়াশুনো করেন তাঁরা। বার বার অভিযোগ করেও কাজ হয়নি। তাই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।
এদিন কলেজের করিডর ও ক্লাসরুমে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় ছাত্ররা। দরজা, জানলা, কোলাপসেবর গেটে চলে লাথালাথি। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বেঞ্চ। কলেজ ভবনের বাইরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীরা।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অব্যবস্থা চলছে এই কলেজে। কলেজে নেই কোনও টিচার ইনচার্জ। অধ্যাপকদের কেউ দায়িত্ব নিতে রাজি নন বলে অভিযোগ ছাত্রদের। নিয়মিত ক্লাস হয় না কলেজে। শনিবার সকালে একদল ছাত্র কলেজে গিয়ে দেখেন, ক্লাসে নেই শিক্ষক। শিক্ষকের কাছে গিয়ে জানতে পারেন, ক্লাসরুমে বিদ্যুত না থাকায় ক্লাস নিতে পারবেন না তিনি। এর পরই বিক্ষোভ দানা বাঁধে।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুন, ৪ দিন পর আটক পালিত মা
পড়ুয়ারা জানিয়েছে, শুধু পঠনপাঠন নয়, বেহাল দশা কলেজের পরিকাঠামোরও। ছাত্রীদের শৌচাগারে নেই জল। লাইব্রেরিতে নেই বই। নেই কলেজের কোনও পরিচালন সমিতি। ফলে অভিযোগ জানানোর জায়গা নেই।
এদিন বিক্ষোভ চরমে পৌঁছলে পুলিসে খবর দেন শিক্ষকরা। হরিহরপাড়া থানার পুলিস গিয়ে বিক্ষোভকারীদের নিরস্ত করে। সেই সময় পুলিস ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তিও হয়। কলেজ কতৃপক্ষের তরফে ছাত্রদের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কলেজের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, সাময়িক কিছু অসুবিধা হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু লাগাতার অব্যবস্থার অভিযোগ ঠিক নয়।