কেউ ছাড়া পাবে না, টিকিয়াপাড়ার ঘটনায় রাজ্য পুলিসের টুইটের পর রিটুইট মুখ্যমন্ত্রীর
রাজ্য পুলিসের এই টুইটের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিটুইট আরও বিষয়টি স্পষ্ট করল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিসের ওপর হামলার ঘটনায় রাজ্য সরকার যে অত্যন্ত বিরক্ত, তা পরিস্কার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাওড়ায় পুলিসের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তরা কেউ রেহাই পাবে না। তাদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। আক্রমণকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। রাজ্য পুলিসের এই টুইটের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিটুইট আরও বিষয়টি স্পষ্ট করল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিসের ওপর হামলার ঘটনায় রাজ্য সরকার যে অত্যন্ত বিরক্ত, তা পরিস্কার।
We are taking strong action against everyone involved in the incident at Tikiapara, Howrah today. The perpetrators will be identified & brought to justice. No transgression of the law anywhere will be tolerated.
— West Bengal Police (@WBPolice) April 28, 2020
বাজারে মানুষের ভিড়, হাওড়ার হটস্পটে জমায়েত সরাতে গিয়ে মার খেল পুলিস
প্রসঙ্গত, গতকাল হাওড়ায় লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার কন্টেইনমেন্ট জোন বেলিলিয়াস রোডে বাধা পায় পুলিস। মঙ্গলবার বেলিলিয়াস রোডে বিকেল চারটে নাগাদ একটি বাজারে ফল কিনতে অনেক লোকের জমায়েত হয়। রেড জোন হাওড়ার ওই এলাকাতেও সম্পূর্ণ ভাবে লকডাউন চলছে। তার মধ্যে ওই জমায়েত দেখে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় পুলিস। পুলিসের কথা শোনার বদলে উলটে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় জনতা। পুলিসের ওপর হামলা শুরু করে। পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিসের দুটি গাড়ি।
হাওড়ার রেড জোন এলাকায় সাধারণের চাহিদা মেটাতে রাস্তায় 'লকডাউন সোলজার্স'
এর পর এলাকায় ব়্যাফ নামাতে বাধ্য হয় পুলিস। প্রথমে ব়্যাফকে ঘিরে ধরে জনতা। পরে তাড়াও করে। এই খবর শুনে এর পর হাওড়া থানা ও ব্যাঁটরা থানার বিশাল পুলিস বাহিনী পৌঁছয় সেখানে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ছ’জন।
পুলিসে এক স্থানীয় বাসিন্দা পিছন থেকে লাথি মারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় সেই ছবি। তা ঘিরে এখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি উঠেছে সবমহল থেকেই।