Nisith Pramanik: কাচের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে পারে তৃণমূল, যোগাযোগ রাখছেন ৪০-৪৫ বিধায়ক: নিশীথ
শান্তনু সেন বলেন, লোডশেডিংয়ে জেতা বিরোধী দলনেতা নিজেও বলতে পারবেন না তাদের দলে কতজন রয়েছেন। সব উপনির্বাচনেই বিজেপি ধরাশায়ী হয়েছে। চূড়ান্ত হতাশা থেকে কর্মীদের চাঙ্গা রাখতেই এমন কথা বলা হচ্ছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শুভেন্দু অধিকারী বারবারই বলছেন ডিসেম্বরে ধামাকা হবে। শনিবার ডায়মন্ডহারবারের লাইট হাউস ময়দানে বিরোধী দলনেতা বলেন, ডিসেম্বরে ফের আসব। বিজয় উত্সব হবে। গাড়ি ভর্তি করে লাড্ডু নিয়ে আসব। তবে কারণটা বলছি না। শুভেন্দুর পাশাপাশি এবার চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তাঁর দাবি, তৃণমূলের ৪০-৪৫ জন বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। কিছুদিন পরেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-মাত্র ১৮৬ করেও জিতে যাচ্ছিল ভারত, শেষে তালগোল পাকিয়ে দিলেন মেহদি
রবিবার নাটাবাড়িতে দলীয় সভায় ওই দাবি করেন নিশীথ প্রামাণিক। ওই সভায় নিশীথ প্রামাণিক বলেন, আপনাদের দায়িত্ব নিয়ে বলে যাচ্ছি, রাজ্যের যা অবস্থা, তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনের যা অবস্থা তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের বহু বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বহু নেতা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তালিকায় রয়েছে ৪০-৪৫ তৃণমূল বিধায়ক। একটা কাচের ঘরের মতো অবস্থা তৃণমূল কংগ্রেসের। যে কোনও সময় ওই তাসের ঘরটা ভেঙে পড়তে পারে।
বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ২০০ আসনের স্বপ্ন চুরমার হয়ে যায়। তার পরেই তৃণমূল থেকে যারা ভোটের আগে গেরুয়া শিরিরে নাম লিখিয়েছিলেন তারা ফিরে আসতে থাকেন। তালিকায় রয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়ের মতো নেতা। এমনকি বাবুল সুপ্রিয়র মতো নেতা তৃণমূলে যোগ দেন। এরপর এবার পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ফের তৃণমূলের দল ভাঙার কথা বলছে বিজেপি।
নিশীথ প্রামণিকের ওই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ভারতের স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী ক্রিমিন্যাল কেসে জড়িত। ওঁর এই কথা শুনে হাসব না কাঁদব তা ভেবে উঠতে পারছি না। অমিত সাহ, নরেন্দ্র মোদীকে ব্যবহার করে, কোটি কোটি টাকা খরচ করে মিথ্যে প্রচার করে বলেও ৭৭-এ আটকে গিয়েছিল বিজেপি। সেটা কমতে কমতে এখন সত্তর হয়েছে। লোডশেডিংয়ে জেতা বিরোধী দলনেতা নিজেও বলতে পারবেন না তাদের দলে কতজন রয়েছেন। সব উপনির্বাচনেই বিজেপি ধরাশায়ী হয়েছে। যারা গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে জেরবার তারা জানেই না দলের অবস্থা কী। তারাই এখন প্রমাদ গুণছে দলটা ভাঙতে ভাঙতে সিপিএম কংগ্রেসের মতো হয়ে যাবে কিনা। চূড়ান্ত হতাশা থেকে কর্মীদের চাঙ্গা রাখতেই এমন কথা বলা হচ্ছে।