ছেলে চিকিত্সক, অনাদরেই মৃত্যু মায়ের
ছেলে চিকিত্সক । কিন্তু সে ঘরে ঠাঁই হয়নি মায়ের । বাধ্য হয়ে বাঁকুড়া শহরের কাটজুড়িডাঙ্গা এলাকায় একাই থাকতেন গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ছেলে চিকিত্সক। তবু অনাদরেই মৃত্যু হল মায়ের। বাঁকুড়ার কাটজুড়িডাঙ্গা এলাকার ঘটনা। দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে স্বামীর ভিটেতে একাই থাকতেন বছর বাহাত্তরে গীতা দেবী। আজ সকালে উদ্ধার হয় বৃদ্ধার নিথর দেহ। খবর পেয়ে ছেলে মাকে দেখতে এলে ক্ষোভ উগরে দেন বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: পাত্রী দেখতে গিয়ে তাঁর বাড়িতে বারাকপুরের পাত্র যা ঘটালেন, তা এই রাজ্যে কেন দেশে কোথাও আগে ঘটেনি!
এ কেমন ছেলে?
অবহেলা আর অনাদরেই মৃত্যু হল বৃদ্ধা মায়ের। বাঁকুড়ার কাটজুড়িডাঙ্গা এলাকার ঘটনা। ছেলে চিকিত্সক । কিন্তু সে ঘরে ঠাঁই হয়নি মায়ের । বাধ্য হয়ে বাঁকুড়া শহরের কাটজুড়িডাঙ্গা এলাকায় একাই থাকতেন গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় । গত তিনদিন ধরেই তাঁকে দেখতে পাননি বাসিন্দারা । রোববার বিকেলে বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করে । সোমবার সকালে বাড়ি খুলে দেখা যায় বৃদ্ধার নিথর দেহ। খবর পেয়ে চিকিত্সক সন্তান স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে এলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ ।ছেলের দাবি, মায়ের দেখভাল তারা ঠিকঠাকই করতেন। স্থানীয় কাউন্সিলর অবশ্য, মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: রাতের খাবার খেয়ে উঠোনে গিয়ে বাড়ির কর্তা যে দৃশ্য দেখলেন, তাতে মাথায় বাজ ভেঙে পড়ল তাঁর
ছেলে তপন বন্দ্যোপাধ্যায় পেশায় রেলের চিকিত্সক । নিজের পরিবার নিয়ে তিনি আদ্রায় রেলের কোয়ার্টারে থাকতেন । এলাকা বাসীর অভিযোগ ছেলের সেই কোয়ার্টারে বৃদ্ধা মা গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্থান হয়নি । বাধ্য হয়ে গত কুড়ি বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রয়াত স্বামীর তৈরি করে দেওয়া বাঁকুড়া শহরের কাটজুড়িডাঙ্গা এলাকার একটি বাড়িতে একাই থাকতেন ওই বৃদ্ধা । মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা নাকি খুন, খতিয়ে দেখছে পুলিস।