ঝগড়া করে বাপেরবাড়ি গিয়েছিলেন বৌদি, ফেরত আনতে গিয়ে দেওরের মৃত্যু গণপিটুনিতে
ফুড সাপ্লাই বিভাগের সাব ইন্সপেক্টর হিসাবে কর্মরত ছিলেন নদিয়ার হাঁসখালির বছর পঁয়ত্রিশের যুবক মিলন বিশ্বাস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দাদার সঙ্গে ঝগড়া করে বাপেরবাড়িতে চলে গিয়েছিলেন বৌদি। তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে ফিরিয়ে আনতে গিয়েই মর্মান্তিক পরিণতি হল দেওরের। বৌদির বাপেরবাড়ির পরিজনদের বেধড়ক মারে মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালিতে।
ফুড সাপ্লাই বিভাগের সাব ইন্সপেক্টর হিসাবে কর্মরত ছিলেন নদিয়ার হাঁসখালির বছর পঁয়ত্রিশের যুবক মিলন বিশ্বাস। ৪ বছর আগে বেনালির মৌসুমী বিশ্বাসের সঙ্গে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় বগুলা স্টেশন পাড়ার কসমেটিক ব্যাবসায়ী লিটন বিশ্বাসের। তাঁদের তিন বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: এমনই প্রেমের টান! কানাডার প্রাসাদ থেকে কালনার ছাউনির ঘরে ক্যাথরিন
অভিযোগ, গত ৭ অক্টোবর পারিবারিক অশান্তির কারণে শ্বশুর বাড়িতে চলে যান মৌসুমী। এরপর ১৮ তারিখ স্ত্রী এবং মেয়েকে ফিরিয়ে আনার জন্য রাতে লিটন বিশ্বাস ও তাঁর ভাই মিলনকে সঙ্গে নিয়ে বেনালিতে শ্বশুরবাড়িতে যান। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোক জামাই এবং তাঁর ভাইকে দড়ি দিয়ে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে সারারাত ধরে বেধড়ক মারধর করেন।
ভোরের দিকে পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় দুই ভাইকে উদ্ধার করে। বগুলা প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সক মিলন বিশ্বাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গণপিটুনির ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে হাঁসখালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জামাই লিটন বিশ্বাস। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ লিটনের স্ত্রী মৌসুমী বিশ্বাস এবং তার শ্বশুর এবং শাশুড়িকে গ্রেফতার করে। ঘটনায় জড়িত বাকিরা পলাতক । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।