পুরসভা-পঞ্চায়েত কর্মী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পিএফ-ও এবার অনলাইনে
নতুন আধুনিক সফ্টওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হবে। সবার জন্য একই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিএফ এককথায় ভবিষ্যতের জন্য আমানত। সেই প্রভিডেন্ট ফান্ড রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে এবার বেশকিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য অর্থ দফতর।
আরও পড়ুন, অতিরিক্ত টাকা দিয়েই দেখতে হবে পে চ্যানেল, ট্রাইয়ের বিজ্ঞপ্তি কার্যকর আজ রাত থেকেই
রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন থেকে শুরু করে প্রভিডেন্ট ফান্ড, সবকিছুই এখন অনলাইনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিতরণ ও জমা হয়ে যায়। কিন্তু সরাসরি সরকারি কর্মচারীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পঞ্চায়েত, মিউনিসিপ্যালিটি প্রভৃতি বিভিন্ন জায়গায় যেসব কর্মচারী রয়েছেন, তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের হিসেব এখনও হাতে-কলমে করা হয়। এতে একদিকে সময় যেমন বেশি লাগে, তেমনই ভুলভ্রান্তি থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এই সমস্যা দূর করার জন্যই প্রভিডেন্ট ফান্ড রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য অর্থ দফতর।
আরও পড়ুন, খোঁজ মিলল ১,৫০০-র বেশি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের, লটারি প্রতারণার বহর দেখে হতবাক গোয়েন্দারাও
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, যাতে একজন কর্মচারী যে কোনও সময় তাঁর প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত যে কোনও তথ্য দেখতে পারেন এবং অবসরের সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পরে যায়, তা নিশ্চিত করতে নতুন আধুনিক সফ্টওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হবে। সবার জন্য একই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। এই বিষয়গুলিকে কার্যকর করতে ৬ সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কমিটিতে মূলত অর্থ দফতরের আধিকারিকদের রাখা হয়েছে। অর্থাত্ সরকারি কর্মীদের মতো পুরসভা ,পঞ্চায়েত ও স্কুলের শিক্ষকদের পিএফ-ও অনলাইন করে দিতে কোমর বেঁধে নেমেছে রাজ্য সরকার।