Panihati: বিধায়ক-আইসির মধ্যে বাকবাকবিতণ্ডা, ভেস্তে গেল দণ্ডমহোৎসবের বৈঠক
পানিহাটির ৫০৭ বছরের চিঁরে দন্ড মহোৎসব মেলার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারের নগরপাল সহ দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ সৌগত রায়, পানিহাটি পৌরসভার বিধায়ক নির্মল ঘোষ এবং পানিহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান।
বরুণ সেনগুপ্ত: ৫০৭ বছরের পানিহাটি দণ্ডমহোৎসব উৎসব নিয়ে পানিহাটি পৌরসভার বোর্ড মিটিং রুমে বৈঠক ভেস্তে গেলো। বৈঠক ভণ্ডুল হয় বিধায়ক নির্মল ঘোষ এবং খড়দহের আইসি-র মধ্যে বাক বিতন্ডায়।
পানিহাটির ৫০৭ বছরের চিঁরে দন্ড মহোৎসব মেলার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারের নগরপাল সহ দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ সৌগত রায়, পানিহাটি পৌরসভার বিধায়ক নির্মল ঘোষ এবং পানিহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান।
বৈঠকে দই চিঁরে উৎসবের আয়োজন কিভাবে হবে তা নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দিচ্ছিলেন স্থানীয় খড়দহ থানার আইসি। সূত্রের খবর, সেটি করার সময় পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ আইসিকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকেন, ‘গত বার ভিতরে লোক মরেছিল। এবার বাইরে মরবে’। এমনকি এই কথাও বিধায়ক বলেন, ‘এই আইসি থাকলে সমস্যা আরও বাড়বে’।
তখন ওই মিটিংয়ে উপস্থিত পুলিস কমিশনার অলোক রাজোরিয়া আইসি-র হয়ে হাল ধরেন। বিধায়ককে কমিশনার বলেন, ‘আপনি এভাবে বলতে পারেন না। সরকারের পুলিসকে নিয়ে এধরণের কথা শোভা পায়না’।
এরপরেই পুলিসের সঙ্গে বিধায়কের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, তর্ক মেটাতে জেলাশাসককে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বৈঠকে তর্কের জেরে এদিন কোনও সিদ্ধান্তেই পৌঁছতে পারা যায়নি।
আরও পড়ুন: Banarhat: ডায়না নদী কার? সীমানা নিয়ে বিবাদ দুই ব্লকের প্রশাসনিক কর্তাদের
সিদ্ধান্ত ছাড়াই এদিন বৈঠক ছেড়ে পুলিস কমিশনারকে নিয়ে বেরিয়ে যান জেলাশাসক। জেলা শাসক শরৎ দ্বিবেদির লঞ্চে করে গঙ্গা পরিদর্শনের কথা ছিল কিন্তু সেই পরিদর্শন না করেই চলে যান তিনি। পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়ে আবার বৈঠক হবে।
তবে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি পুলিস কমিশনার এবং জেলাশাসক।
তবে সাংসদ সৌগত রায় আলোচনার কোনও সমাধান হয়নি তা স্বিকার করেছেন। আর যাতে গতবারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটনা না ঘটে তার দিকে সর্বস্তরের মানুষকে লক্ষ রাখতে বলেছেন পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ।