Sundarban: সাপের কামড়ে মৃত সন্তানকে নদীতে ভাসিয়ে দিল বাবা-মা, একদিন পরে ফিরল সেই ভেলা
মৃত ছাত্রীর বাবা সুব্রত মালাকার বলেন, মেয়ে ফিরে আসবে এই বিশ্বাসে কলার ভেলায় ভাসিয়ে দিয়েছিলাম
নকীব উদ্দিন গাজী: এই যুগেও চলছে এমন কুসংস্কার। সাপের কামড়ে সন্তানের মৃত্যুর পর তাকে নদীতে ভাসিয়ে দিল বাবা-মা। বিশ্বাস, প্রাণ ফিরে পাবে তাদের সন্তান। সুন্দরবনের সাগর ব্লকের মৃত্যুঞ্জয়নগরের ঘটনা।
মঙ্গলবার দুপুরে বাড়িতে ঘুমাচ্ছিল দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী শ্রাবণী মালাকার। সেইসময় তাকে ছোবল দেয় কোনও বিষধর সাপ। মেয়ের চিত্কার শুনে তাকে সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যান বাবা-মা। সেখানে কিছু না হওয়ায় শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় সাগর ব্লক হাসপাতালে। চিকিত্সকেরা তত্ক্ষণাত তাকে অ্য়ান্টিভেনম দিলেও তাকে বাঁচানো যায়নি।
হাসপাতাল থেকে মেয়ের মৃতদেহ ফিরিয়ে আনেন বাবা-মা। এরপর একটি কলার ভেলায় তুলে মৃতদেহ মুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। লক্ষ্যনীয় বিষয় হল গতকাল ভেলাটি ভাসিয়ে দেওয়ার পর আজ সেটি ফিরে এসেছে। এনিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে এলাকায়। প্রচুর মানুষ নদীর ঘাটে ভিড় করেন তা দেখতে।
মৃত ছাত্রীর বাবা সুব্রত মালাকার বলেন, সাপে কাটার পরে ওঝার কাছে যাওয়া হয়েছিল। তারপরে হাসপাতালে। মেয়েকে বাঁচাতে পারিনি। মেয়ে ফিরে আসবে এই বিশ্বাসে কলার ভেলায় ভাসিয়ে দিয়েছিলাম।
বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য সৌম্যকান্তি জানা বলেন, আধুনিক যুগে এমনও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন মানুষ রয়েছেন। এনিয়ে সচেতন করলেও কোনও কাজ হচ্ছে না। ফলে সাপেকাটা ব্যক্তিকে ডাক্তারের কাছে প্রথমে না নিয়ে গিয়ে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই ধরনের কুসংস্কার দূর করার জন্য প্রত্যেকটি মানুষের এগিয়ে আসতে হবে। কুসংস্কারের কারণে আজ এই ছোট্ট মেয়েটির মৃত্যু হল। প্রথমে যদি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হতো অবশ্যই ওই ছাত্রী বেঁচে যেত। গ্রামের ওঝাদেরও সচেতন করতে হবে। এভাবে সাপে কাটা রোগী নিয়ে কখনো ছেলেমানুষি যেন না করে।
আরও পড়ুন- "Who is KK", রূপঙ্করকে 'সপাট' উত্তর দিলেন নেটিজেনরা