শালবনির ভাদুতলায় মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু ক্লাস ফাইভের দুই পড়ুয়ার
স্কুলে আর যাওয়া হল না। পথেই গেল প্রাণ। দুর্ঘটনা ঘিরে তুলকালাম শালবনির ভাদুতলায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ুয়াবোঝাই অটোয় ধাক্কা মারে দশ চাকার লরি। মৃত্যু ক্লাস ফাইভের দুই পড়ুয়ার। গুরুতর জখম চালক সহ দশ জন।
ওয়েব ডেস্ক: স্কুলে আর যাওয়া হল না। পথেই গেল প্রাণ। দুর্ঘটনা ঘিরে তুলকালাম শালবনির ভাদুতলায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ুয়াবোঝাই অটোয় ধাক্কা মারে দশ চাকার লরি। মৃত্যু ক্লাস ফাইভের দুই পড়ুয়ার। গুরুতর জখম চালক সহ দশ জন।
কোনও খেলনা নয়। দুর্ঘটনার পর এমনই মারাত্মক অবস্থা অটো-লরির। হাসপাতালে তখন ভারী কান্নার আওয়াজে। শালবনীর ভাদুতলায় অটো-লরির দুর্ঘটনার জেরে সকাল থেকে উত্তপ্ত। কেরানি চটির থেকে ভাদুতলার দিকে যাচ্ছিল অটোটি।
ছিল এগারো জন স্কুল পড়ুয়া এবং চালক। যদিও সাতজনের বেশি নেওয়ার কথাই নয়। ভাদুতলা মোড়ের কাছে দশ চাকা লরির টায়ার পাংচার হয়ে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি ধাক্কা মারে অটোটিতে। টাল সামলাতে না পেরে তা উল্টে যায়। অটোর খানিকটা অংশ চাপা পড়ে যায় লরির নিচে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জনরোষের মুখে পড়ে পুলিস। মার খেতে হয় শালবনির আইসিকে। ব্যাপক মারধর করা হয় পুলিস কর্মীদের। ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিসের গাড়ি। জখম আইসি সহ পুলিস কর্মীদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে যান শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহ। তাঁকে ঘিরেও উত্তেজিত জনতার ক্ষোভ আছড়ে পড়ে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে, ভাঙচুর হয় তাঁর গাড়ি। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক অবরোধ চলে ষাট নম্বর জাতীয় সড়কে।
কিন্তু হঠাত্ কেন এমন জনরোষের বিস্ফোরণ? স্থানীয়দের বক্তব্য, ক্ষোভ জমছে বহুদিন ধরেই। কারণ একাধিক। এলাকাবাসীর বহুদিনের দাবি, ভাদুতলা মোড়ের মতো ব্যস্ত রাস্তায় ট্রাফিক পয়েন্ট দরকার। কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। অটো সবসময়ই বাড়তি যাত্রী নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এবার কি হুঁশ ফিরবে? অকালে এভাবে চলে গেল পড়ুয়াদের প্রাণ। অন্তত এরপর? (আরও পড়ুন- মাঝেরহাট রেল ইয়ার্ডের কাছে লাইনচ্যুত হল EMU ট্রেন)