Threat Letter to Sushil Modi: বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে হুমকি, বর্ধমানে এসে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ পাটনা পুলিসের
বৃহস্পতিবার বিহার পুলিস চম্পার সঙ্গে মিনিট দশেক কথা বলে। ওইরকম কোনও চিঠি তিনি সুশীল মোদীকে লিখেছিলেন কিনা তা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি আরও জানতে চাওয়া হয় তিনি কখনও পাটনা গিয়েছিলেন কিনা?
পার্থ চৌধুরী: বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদীকে হুমকি চিঠি কাণ্ডের তদন্তে বর্ধমানে এল বিহার পুলিস। বৃহস্পতিবার পাটনা থেকে বর্ধমান আদালত চত্বরে এসে ওই ঘটনা নিয়ে অবিযুক্ত চম্পা সোমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পঙ্কজ কুমার নামে এক সাব ইন্সপেক্টর ও তাঁর এক সঙ্গী। জিজ্ঞাসবাদে তাঁরা কী পেলেন তা নিয়ে কিছু বলতে চাননি তাঁরা।
কী হয়েছিল আসলে? বর্ধমানের রায়ান গ্রামের বাসিন্দা চম্পা সোম। বর্ধমান জজ কোর্টে ল ক্লাক-র কাজ করেন। তিনিই নাকি বিহারের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রীকে হুমকি চিঠি দিয়েছেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর এনিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিহার পুলিস। শুনে তাজ্জব চম্পা সোম। ঘটনাটি জানাজানি হতেই তোলপাড় শুরু হয়। সুশীলকে মোদীকে হুমকি চিঠি পাঠানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চম্পা সোম। অভিযুক্ত ল ক্লার্কের দাবি, 'আমি ঠিকমতো ইংলিশ লিখতেই পারি না। ১০০-১৫০ টাকা মাইনে পাই। ঝুপড়ি ঘরে থাকি। ওই ভদ্রলোককে চিনি না, জানি না। কী করে খুনের হুমকি দেব! আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন-Burdwan: বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে হুমকি চিঠি বর্ধমান আদালতের ল ক্লার্কের!
বৃহস্পতিবার বিহার পুলিস চম্পার সঙ্গে মিনিট দশেক কথা বলে। ওইরকম কোনও চিঠি তিনি সুশীল মোদীকে লিখেছিলেন কিনা তা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি আরও জানতে চাওয়া হয় তিনি কখনও পাটনা গিয়েছিলেন কিনা? এনিয়ে সংবাদমাধ্যমে চম্পা বলেন, আমাকে ফাঁসিয়েছে সুদীপ্ত রায়। এভিডেবিট করা নিয়ে ওঁর সঙ্গে একটা ঝামেলা হয়েছিল। উনি আমাদের কাজ করতে দিতেন না। কাস্টমারদের উল্টোপাল্টা করতেন। ইনি বহু দুনম্বরি কাজ করেন। এর জন্য আমাদের কাজের ক্ষতি হচ্ছিল। আমরা ওকে বলেছিলাম এরকম করবেন না সুদীপ্তদা। আমাদের কাজ করতে অসুবিধে হচ্ছে। এনিয়ে বারে অভিযোগ করেছিলাম। অভিযোগের চিঠিতে আমি সই করেছিলাম। বাপ্পা চ্যাটার্জিও সই করেছিল। সুদীপ্ত বাপ্পাকে বলেছিলেন, তোমাকে ফাঁসিয়ে দেব। এরপরই এই কাণ্ড। তাই এটা সুদীপ্ত রায় ছাড়া আর কেউ করতে পারে না। উনি বলেছিলেন তোদের দেখে নেব।
বিহার পুলিসের জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে চম্পা বলেন, বিহার পুলিসে এসেছিল। পাঁচ মিনিট আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি সুশীল মোদীকে চিনি না। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। ওরা আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কি সুশীল মোদীকে চেনেন? স্পিড পোস্টে আপনি একটি চিঠি লিখেছেন সুশীল মোদীকে? আমি বললাম ওঁর নাম আমি শুনিনি। চিনিও না। পাটনার রাস্তা কোন দিকে তাও জানি না। যে চিঠি দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে সেই চিঠিতে আমার কোনও সই নেই। ওঁরা জিজ্ঞাসা করলেন, আপনাকে কি কেউ ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে? আমি জানিয়ে দিয়েছি, সুদীপ্ত রায় নামে এক আইনজীবী এটা করতে পারে। কারণ উনি আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।