Canning: আবাস যোজনা তালিকায় নাম নেই, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে ক্যানিং থানার অন্তর্গত দিঘীরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর অঙ্গদবেড়িয়া গ্রামে রয়েছে ২৬৫ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে গ্রামবাসীরা অপর্ণা মন্ডলকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা সানজুলা তরফদারের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয় ক্যানিং থানার বিশাল পুলিস বাহিনী ও অন্যান্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা।
প্রসেনজিৎ সর্দার: আবাস যোজনা তালিকায় নাম নেই কেন? এমন অভিযোগ তুলে এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। ঘটনার খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজীর হয়। হাজীর হয় ক্যানিংয়ের অন্যান্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা। গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে তাঁরা ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীকে উদ্ধার করেন। শুক্রবার সকাল থেকে এমন ঘটনা ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে ক্যানিং থানার অন্তর্গত দিঘীরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর অঙ্গদবেড়িয়া গ্রামে রয়েছে ২৬৫ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র।
অন্যান্য দিনের মতো ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অপর্ণা মন্ডল শিশুদের নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়ানোর কাজ করছিলেন। সেই সময় এলাকার শতাধিক পুরুষ-মহিলা হাজীর হয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে। তারা জানায় আবাস তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ গিয়েছে কেন সেই জবাব অপর্ণাকে দিতে হবে। এরপরে ওঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভিতর থেকে তাঁকে টেনে হিচড়ে ধ্বস্তাধ্বস্তি করে বের করে আনেন গ্রামবাসীর। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা। এমনটাই দাবী করেছেন ২৬৫ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অপর্ণা মন্ডল।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে গ্রামবাসীরা অপর্ণা মন্ডলকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা সানজুলা তরফদারের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয় ক্যানিং থানার বিশাল পুলিস বাহিনী ও অন্যান্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা। গ্রামবাসীরা পুলিস ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায়। প্রায় তিনঘন্ট ধরে চলে বিক্ষোভ।
আরও পড়ুন: Gangasagar: গঙ্গাসাগরে সরকারি শংসাপত্র হাতে ঘুরছেন রবীন্দ্রনাথ!
গ্রামবাসীদের অভিযোগ ‘গ্রামের প্রতিটা রাস্তা চলাচলের অযোগ্য, গ্রামের মধ্যে পানীয় জলের হাহাকার রয়েছে। তারপর এলাকার দরিদ্র অসহায় মানুষ, যারা মাটির ঘরে বসবাস করেন তাদের আবাস যোজনা তালিকায় নাম নেই। নাম রয়েছে যাদের পাকা ঘর, যাদের গাড়ি বাড়ি রয়েছে তাদের। এটা পঞ্চায়েত সদস্য ও ওঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কাজ। তাদের আরোও দাবী যেখানে আশা দিদি, অঙ্গনওয়াড়ি দিদি, পুলিশ এবং বিডিও, এসডিও দের গ্রামে গিয়ে সমীক্ষা করার কথা। সেখানে শুধুমাত্র গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যা আর ওঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাই পাড়ায় গিয়েছিলেন সমীক্ষা করতে। তাদের ইন্ধনে আবাস যোজনা তালিকা থেকে প্রকৃত উপভোক্তাদের নাম বাতিল হয়েছে’।
আরও পড়ুন: Zakir Hossain: বাড়ি-অফিসে নগদ ১১ কোটি! তৃণমূল বিধায়ককে তলব আয়কর দফতরের
তাঁরা জানিয়েছেন ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমাদের আবেদন উপযুক্ত ভাবে সরেজমিনে খতিয়ে দেখে এবং সমীক্ষা করে প্রকৃত প্রাপকদের আবাস যোজনার ঘর দেওয়া হোক। কারণ যারা সমীক্ষা করছেন তারা ঠিকভাবে সমীক্ষা করেননি। পঞ্চায়েত সদস্যের কথায় কাজ করেছে হয়েছে।’
ঘটনা প্রসঙ্গে ২৬৫ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী জানিয়েছেন ‘গ্রামের মানুষ আমাদের শত্রু নয়। ফলে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী এলাকায় ৪৪ টি বাড়িতে সমীক্ষা করেছিলাম। প্রকৃত রিপোর্ট জমা দিয়েছি। গ্রামবাসীরা বলেছেন আমি আবাস তালিকা থেকে তাদের নাম কেটে বাদ দিয়েছি। এমনটা হতে পারে না’।