কাটোয়ায় আলুর কালোবাজারির অভিযোগ, তৎপর প্রশাসন
যার ২ কেজি দরকার, সে ৫ কেজি কিনে নিয়ে গেছে । কোনও কালোবাজারি হয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়াগায় বিক্ষিপ্তভাবে লকডাউন চলছে কিংবা শুরু হতে যাচ্ছে । স্বাভাবিকভাবে লকডাউনের কারণে খাদ্যশস্য মজুত করার হিড়িক রয়েছে মানুষের মধ্যে। অভিযোগ, সেই সুযোগকেই কাজে লাগাচ্ছে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসাযী । লকডাউন ঘোষণা হতেই কাটোয়ার সবজি বাজার থেকে আলু উধাও। অভিযোগ, বেশি মুনাফার জন্য একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীদের মদতেই বাজারে আলুর আকাল তৈরি করা হয়েছে। বাজারে এসে ক্রেতারা বাজারে আলু না পেয়ে কার্যত হতাশ। সেইসঙ্গে আলুর দাম ২৮ টাকা থেকে একধাক্কায় ৩২ টাকা হয়ে গিয়েছে। আবার দাম দিয়েও আলু পাচ্ছেন না ক্রেতারা।
অভিযোগ গিয়ে পৌঁছেছে কাটোয়া পুরপ্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে । তিনি জানান ,” অভিযোগ পেয়েছি যে হঠাত করে বাজারে আলু পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা খোঁজ নিচ্ছি কেন এমন অবস্থা তৈরি হল। কারণ বাজারে আলুর অভাব নেই । আলু যথেষ্ট মজুত আছে । খোঁজ নিচ্ছি । যদি কেউ কালোবাজারি করার চেষ্টা করে, পুলিসকে বলব তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।“
যদিও আলুর কালোবাজারির কথা মানতে নারাজ কাটোয়া বাজারের আলুর পাইকারি এবং খুচরো ব্যবসায়ীরা । তাঁদের দাবি , “ হঠাৎ লকডাউন ঘোষণা করাতে ক্রেতারা বেশি করে আলু কিনেছে বলে আলুর আকাল দেখা দিয়েছে । যার ২ কেজি দরকার, সে ৫ কেজি কিনে নিয়ে গেছে । কোনও কালোবাজারি হয়নি। যোগানের চেয়ে চাহিদা বেশি হওয়াতে আলুর সঙ্কট দেখা দি্য়েছে। এছাড়া ক্রমাগত লকডাউন চলছে। ব্যবসায়ীরা বেশি আলু মজুত করছেন না। “
এদিকে আলু নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগের খবর পৌঁছে গিয়েছে নবান্নতেও। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রবিবার থেকে সুফল বাংলায় ২৫ টাকায় আলু বিক্রি করা হবে । পাশাপাশি হিমঘরে ৪০ বস্তার বেশি আলু কোনওভাবেই মজুত রাখা যাবে না।
আরও পড়ুন, করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় সপ্তাহব্যাপী লকডাউন