Exclusive: হাওড়া স্টেশনের ওয়েটিং রুমে থাকত বাগুইআটি জোড়া খুনে মূল অভিযুক্ত!
এক্সক্লুসিভ সেই সিসিটিভি ফুটেজ জি ২৪ ঘণ্টার হাতে। ধৃত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।
দেবব্রত ঘোষ: সময় লাগল ৩ দিন। বাগুইআটি জোড়া খুনকাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। পুলিসের হাত থেকে বাঁচতে হাওড়া স্টেশনের এসি ওয়েটিং রুমে আশ্রয় নিয়েছিল সে! এক্সক্লুসিভ সেই সিসিটিভি ফুটেজ জি ২৪ ঘণ্টার হাতে।
ঘটনার সূত্রপাত ২২ অগস্ট, সোমবার। সেদিন আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় বাগুইআটির জগৎপুর খাল পাড়ের বাসিন্দা দুই ছাত্র। নাম, অতনু দে ও অভিষেক নস্কর। পরিবারের লোকেদের দাবি, এক কোটি টাকা মু্ক্তিপণ চেয়ে ফোন এসেছিল। এরপর অভিযোগ দায়ের করা হয় বাগুইআটি থানায়। এমনকী, ৪ জনকে গ্রেফতারও করে পুলিস। কিন্তু মূল অভিযু্ক্ত সত্যেন্দ্র-সহ ২ তখনও ফেরার ছিল।
আরও পড়ুন: Primary Teachers Recruitment: পুজোর পরেই প্রাথমিকে নিয়োগ, আবেদন করতে পারবেন কারা?
এদিকে এই ঘটনায় প্রথম যাঁকে গ্রেফতার করা হয়, সেই অভিজিৎ বসুকে জেরা করে জানা যায়, বাসন্তী হাইওয়ে চলন্ত গাড়িতে অতনু ও অভিষেককে খুন করেছে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র ও আরও বেশ কয়েকজন। এরপর নয়ানজুলিতে দুটি আলাদা জায়গায় দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বনগাঁ মর্গে গিয়ে জোড়া মৃত শনাক্ত করেন পরিবারের লোকেরা। পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এমনকী, মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরি বাড়িতে ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। নিহতদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত চৌধুরী।
এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাওড়া স্টেশন লাগোয়া এলাকা থেকে সত্যেন্দ্র গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃতকে ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কোথায় গা-ঢাকা দিয়েছিল বাগুইআটি জোড়া খুনকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত? সূত্রের খবর, জেরায় সত্যেন্দ্র জানিয়েছেন, দিনের বেলায় শহর ও শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় লুকিয়ে থাকত সে। আর রাতে আশ্রয় নিতে হাওড়া স্টেশনে এসি ওয়েটিং রুমেও। শুধু তাই নয়, ওয়েটিং রুমে বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরায় সত্যেন্দ্রের ছবিও ধরা পড়েছে।
হাওড়া স্টেশনের এই ওয়েটিং রুমে থাকতে গেলে ঘণ্টা প্রতি ১০ টাকা দিতে হয়। সূত্রের খবর, ওয়েটিং রুমে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা থাকত সত্যেন্দ্র। বৃহস্পতিবার রাতেও ছিল সে। এদিন সকালে ওয়েটিং রুম থেকে বেরিয়ে টিকিট বুকিং কাউন্টারে যায় সত্যেন্দ্র। কেন? হাওড়া থেকে ট্রেনে মুম্বই পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তার আগেই ধরা পড়ে যায় সে। স্থানীয় সূত্রের খবর, মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র-র বাড়ি বিহারের সীতামারিতে। কয়েক বছর ধরে বাগুইআটিতে থাকছিল সে। অতনুদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই মোটর পার্টসের দোকান সত্য়েন্দ্রর।