সোমবারের পর রাজ্যজুড়ে আরও তীব্র বাস যন্ত্রণা, সপ্তাহভর তুঙ্গেই যাত্রী দুর্ভোগের আশঙ্কা
বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের অধীনস্থ বাসগুলো নামলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। যাত্রীর তুলনায় সরকারি বাস পর্যাপ্ত ছিল না। যার ফলে সকাল থেকে কলকাতা-সহ শহরতলির প্রতি জায়গায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে অফিস যাত্রী থেকে সাধারণ মানুষকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে বেসরকারি বাস এবং মিনি বাস চালানো নিয়ে জটিলতা আরও তীব্র হওয়ায় দুর্ভোগ আর বাড়তে চলেছে অফিস যাত্রীদের। সপ্তাহের প্রথমদিন সোমবার রাস্তায় কম বেসরকারি বাস। দুর্ভোগের শিকার যাত্রীরা। আজ পথে নামেনি জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের বাস।
বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের অধীনস্থ বাসগুলো নামলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। যাত্রীর তুলনায় সরকারি বাস পর্যাপ্ত ছিল না। যার ফলে সকাল থেকে কলকাতা-সহ শহরতলির প্রতি জায়গায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে অফিস যাত্রী থেকে সাধারণ মানুষকে।
আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে বাঁধ ভাঙল ফুলহারের, ফুলেফেঁপে উঠেছে ময়ূরাক্ষী-মহানন্দা-কালিন্দী
কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র একই ছবি। বৃষ্টির মধ্যেই বাসের জন্য অপেক্ষায় অফিস যাত্রীরা। একই ছবি জেলার সর্বত্র। বারাকপুর, বারাসত, হাওড়া, হুগলি-সহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ দুর্ভোগের শিকার। ট্রেন না চলায় কলকাতা সংলগ্ন বেশকিছু জেলার অফিস যাত্রীদের একমাত্র পরিবহন বেসরকারি বাস। সেই বাসে দেখা মেলেনি সপ্তাহের প্রথম দিন।
যাত্রীদের অভিযোগ, ন্যূনতম পরিবহন ব্যবস্থা না করে সরকারি ও বেসরকারি অফিস খুলে দিয়ে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে সাধারণ মানুষকে। চাকরি বাঁচাতে হাতের তালুতে জীবন নিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি হওয়ার কথাই ছিল। কারণ রবিবার মিনি বাস অপারেটার্স এবং জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সোমবার থেকে বাস রাস্তায় নামাবে না। তাদের দাবি, সরকারি নির্দেশিকা মেনে বাস চালাতে গেলে সরকার পনেরো হাজার টাকা ভর্তুকি দিলেও লোকসান এড়ানো সম্ভব নয়। ভাড়া বৃদ্ধিই একমাত্র সমাধানের রাস্তা হতে পারে।"
আরও পড়ুন: করোনায় এখনই সম্ভব নয়! ৩ জুলাই থেকে কলকাতা মেট্রো চালুতে 'না' কর্তৃপক্ষের
নবান্নে ৫ হাজার বাস মালিকদের তিনমাসে ১৫ হাজার টাকা ভর্তুকি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও আপত্তি জানাচ্ছে বাস মালিকরা। তাঁদের দাবি এই ভর্তুকি ২৭ হাজার বাস মালিককে দিতে হবে। কিন্তু বাস মালিকদের সংগঠনই রাজ্য সরকারের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছিল আনলক ওয়ানে ৫ হাজার বাস রাস্তায় নেমেছিল। এরপর সবার ভর্তুকির দাবি জানাচ্ছে বাস মালিকদের সংগঠন।
এমনিতেই বাস নেই। নাকাল অফিসযাত্রীরা। সোমবারের পর বাস নিয়ে জটিলতা আরও তীব্র হল। এবার বাস না চালানোর হুমকি দিল মিনি বাস অপারেটার্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি। মিনি বাস মালিক সংগঠন সোমবার বৈঠক করে সরকারের কাছে প্যাকেজের শর্ত রেখেছে। মূলত সরকারের কাছে তিনটি শর্ত রাখতে চলেছে মিনি বাসের মালিকরা।
আরও পড়ুন: মাত্র কদিন আগে বিয়ে, আত্মীয়ের বাড়ি গিয়ে স্ত্রীকে খুন করে চম্পট দিল স্বামী
** ভর্তুকির ১৫ হাজার টাকা তিনটি কিস্তিতে ভাগ করে দিতে হবে ।
** লকডাউনে যারা ঝুঁকি নিয়ে বাস চালিয়েছে প্যাকেজ দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
** এই সময় পুলিস কোন কেস দিতে পারবে না।
এই তিনটি শর্ত মানলে তবেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত প্যাকেজ তাঁরা মানবে। আর রাস্তায় নামবে মিনি বাস। মঙ্গলবার পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এই তিন দফা শর্ত নিয়ে বৈঠক করতে যাচ্ছে মিনি বাস অপারেটার্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি। বলা যেতেই পারে মঙ্গলবার পরিবহনমন্ত্রী সঙ্গে সদর্থক বৈঠক না হলে বুধবার থেকে আরও দুর্ভোগের শিকার হবে নিত্যযাত্রীরা।