আবেদন শুনল না সুপ্রিম কোর্ট, বাড়ল রাজীব কুমারের গ্রেফতারির শঙ্কা
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চে আইনি প্রতিষেধকের জন্য সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন করেন রাজীব। তাঁর দাবি, আইনি প্রতিষেধকের জন্য আবেদন করতে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। আর এই মুহূর্তে কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আইনি প্রতিষেধকের জন্য রাজীব কুমারের গ্রেফতারির ওপর স্থগিতাদেশের আবেদন শুনল না সুপ্রিম কোর্টের ২ সদস্যের বেঞ্চ। তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেলের কাছে আবেদনের নির্দেশ দিল আদালত। ফলে আগামী ২৩ মে-র মধ্যে আদালতে থেকে স্বস্তি পাওয়ার সম্ভাবনা কমল রাজীব কুমারের। বাড়ল গ্রেফতারির সম্ভাবনা।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চে আইনি প্রতিষেধকের জন্য সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন করেন রাজীব। তাঁর দাবি, আইনি প্রতিষেধকের জন্য আবেদন করতে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। আর এই মুহূর্তে কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলছে। ফলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া সম্ভব হচ্ছে না তাঁর পক্ষে।
রাজীবের আবেদন এদিন পত্রপাঠ খারিজ করে দেন বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ২ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজীবকে সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেলের কাছে ৩ সদস্যের বেঞ্চ গঠন করে এই মামলার শুনানির আবেদন করতে পরামর্শ দেয় আদালত।
আইনজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গত ১৭ মে রাজীব কুমারের গ্রেফতারির ওপর স্থগিতাদেশ সংক্রান্ত মামলার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের ৩ সদস্যের বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সেই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে তিনের কম বিচারপতির বেঞ্চের পক্ষে এই মামলার রায়ে কোনও সংযোজন, পরিমার্জন বা পরিবর্ধন নৈতিক নয়।
এক্ষেত্রে রাজীব কুমার আদালতের পরামর্শ মেনে সেক্রেটারি জেনারেলের কাছে আবেদন করলে সেই আবেদন পত্র পৌঁছবে প্রধান বিচারপতির কাছে। প্রধান বিচারপতি মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে বেঞ্চ গঠনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। বেঞ্চ গঠনের পর মামলার শুনানির দিন জানাবেন বিচারপতিরা।
আদালতের নির্দেশ অনুসারে গ্রেফতারি এড়াতে ২৩ মে রাত ১২টার মধ্যে আইনি প্রতিষেধকের ব্যবস্থা করতে হবে রাজীব কুমারের। তবে প্রক্রিয়াগত জটিলতায় তা সম্ভব না হলে ওই সময়ের পর যখন খুশি রাজীবকে গ্রেফতার করতে পারে CBI.