Jogadya: বছরে মাত্র দু'দিন জলের তলা থেকে উঠে আসেন দেবী! কোথায় জানেন?
ফুলে, আলোয় সেজে উঠেছে মায়ের মন্দির। বহু দূর থেকে ভক্ত-দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটেছে। দুবছর পর মা যোগাদ্যার পুজো উপলক্ষে ক্ষীরগ্রামে মেলাও বসেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ৫১টি সতীপীঠের মধ্যে অন্যতম কাটোয়া মহকুমার ক্ষীরগ্রামের যোগাদ্যা সতীপীঠ। এই সতীপীঠে প্রত্যেক বছর বৈশাখ সংক্রান্তির দিন মহা ধুমধাম ও সমারোহের সঙ্গে মা যোগাদ্যার পুজো হয়। সতীপীঠের আরাধ্যাদেবী মা যোগাদ্যা সারা বছর ধরে ক্ষীরগ্রামের ক্ষীরদিঘির জলে নিমজ্জিত থাকেন।
বছরের বিশেষ কয়েকটি দিনে মা'কে জল থেকে তুলে পুজো করা হলেও সেই সব দিন পুরোহিত ছাড়া কোনো সাধারণ মানুষ মা'র দর্শন করতে পারেন না। একমাত্র বৈশাখ সংক্রান্তি ও জ্যৈষ্ঠ মাসের চার তারিখে মা'কে জল থেকে তুলে পুজো করা হয়। বছরের এই দুটো দিন সর্বসাধারণ মাকে দর্শন করতে ও পুজো দিতে পারেন। এই উপলক্ষে বড়ো মেলাও বসে। দূর দুরান্ত থেকে বহু ভক্ত, দর্শনার্থী মাকে দর্শন করতে, পুজো দিতে হাজির হন।
গত দু'বছর ধরে করোনার কারণে মায়ের পুজো হলেও সাধারণর দর্শন বন্ধ ছিল, বন্ধ ছিল মেলাও। দু'বছর পরে আবার এ বছর মহা ধুমধামের সঙ্গে মায়ের পুজোর আয়োজন হয়েছে। অন্যান্য বছরের মতো এবছরও ভোর চারটের সময় মাকে জল থেকে তুলে অভিষেক করিয়ে ক্ষীরদিঘি থেকে কিছু দূরে মন্দিরে বসিয়ে পুজো শুরু হয়েছে। ফুলে, আলোয় সেজে উঠেছে মায়ের মন্দির।
বহু দূর থেকে ভক্ত-দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটেছে। দুবছর পর মা যোগাদ্যার পুজো উপলক্ষে ক্ষীরগ্রামে মেলাও বসেছে। মেলা সুশৃঙ্খল ভাবে পরিচালনার জন্য সেই সঙ্গে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনিক মহলের নজরদারিও রয়েছে। মোতায়েন হয়েছে পুলিস। দু'বছর পরে মায়ের পুজো দিতে পেরে খুশি মায়ের ভক্ত ও দর্শনার্থীরা।
আরও পড়ুন: Mangalkote: বসেছে ফলক; খরচের হিসেবও আছে, শুধু পার্কটাই নেই!