প্রধানমন্ত্রীর সভায় চরম বিশৃঙ্খলা কীভাবে? দেখুন সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ চলাকালীন ভেঙে গেল বাঁশের ব্যারিকেড।
কমলিকা সেনগুপ্ত
কেউ পড়ছেন, কেউ লাফাচ্ছেন। প্রায় পদপৃষ্ট হওয়ার জোগাড়। প্রধানমন্ত্রীর সভায় যে এমন বিশৃঙ্খলা হতে পারে তা কল্পনারও বাইরে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ভাষণ কার্যত অর্ধসমাপ্ত রেখে মঞ্চ থেকে নেমে যান নরেন্দ্র মোদী। এর আগে মেদিনীপুরের সভাতেও ভেঙে পড়েছিল চাঁদোয়া। আহত হয়েছিলেন অনেকে। ঠাকুরনগরেও জখম হলেন বেশ কয়েকজন।
PM Modi in Durgapur,West Bengal: There was a lot of enthusiasm during my rally in Thakurnagar, and I think the ground was filled twice its capacity,I would like to apologise for the discomfort the people went through; Visuals of those injured during the rally (Pic 2&3) pic.twitter.com/SlhflpfeDj
— ANI (@ANI) February 2, 2019
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ চলাকালীন ভেঙে যায় বাঁশের ব্যারিকেড। ভাষণের মাঝেই শুরু হয়ে যায় চেয়ার ছোড়াছুড়ি, হুড়োহুড়ি। আহত হন বেশ কয়েকজন। দুর্গাপুরের সভা থেকে ক্ষমা চেয়ে নেন মোদী। মেদিনীপুরের সভার পর ফের ঠাকুরনগরে কেন এমন ঘটনা? মঞ্চে তখন বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। বাঁশের ব্যারিকেডে পেরিয়ে লোক ঢুকে পড়ছেন নিরাপত্তা বলয়ে। একটা সময়ে সভায় হাজির সাংবাদিকরাও ভয় পেয়ে যান। ভিড়ের চাপে পদপৃষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছিল।
When I was shooting this I was sure this will not reach people there was chaos pandemonium .See situation in @narendramodi Thakurnagar rally @MamataOfficial pic.twitter.com/p1N25NWAPW
— Kamalika Sengupta (@KamalikaSengupt) February 2, 2019
ভিডিয়ো দেখে স্পষ্ট, উত্সাহী জনতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিমিত ব্যবস্থা ছিল না। বিজেপির দাবি, পুলিস কার্যত হাত-পা গুটিয়ে ছিল। বিশৃঙ্খলার মূলে রাজ্য প্রশাসনই। সভার উদ্যোক্তা শান্তনু ঠাকুরের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে উত্সাহী মানুষ। আর সে কারণেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কটাক্ষ, বিশৃঙ্খলাকারী দল বিজেপির থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না।
আরও পড়ুন- দুর্গাপুরে তৃণমূলের বিদায়ঘণ্টা বাজালেন মোদী, নমোর চোখা চোখা ২৫টি মন্তব্য এক নজরে
বেশ কিছুদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর সভার দিনক্ষণ পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু গত বছরের সভার বিশৃঙ্খলার ছবিটা পরিবর্তন হল না এবারও। দায় কার? উত্তর মিলবে কী? বিজেপির একটা অংশ বলছে পুলিসি সাহায্য মেলেনি। তৃণমূলের অভিযোগ, সাংগঠনিক ব্যর্থতাতেই ফের একবার বিশৃঙ্খলা। কেন জনসভায় এত চেয়ার আনা হয়েছিল? উত্তর মেলেনি অবশ্য। তবে দুর্গাপুরে গোটা ঘটনায় অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নেন খোদ প্রধানমন্ত্রীই। পরামর্শ দেন, ধৈর্য্য ধরতে হবে।
আরও পড়ুন- মমতাকে বেনজির আক্রমণ 'নরমপন্থী' রাজনাথের, একনজরে ১০টি সেরা মন্তব্য