টাকা নিয়ে পরীক্ষায় পাস-নম্বর বাড়ানো! অভিযুক্ত অধ্যাপককে 'ছেঁটে ফেলল' শিলিগুড়ি কলেজ
কলেজের ওয়েবসাইট থেকেও বাদ পড়েছে অভিযুক্ত অধ্যাপকের নাম। বিভিন্ন অনলাইন ক্লাস থেকেও তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : একদিকে যেমন কাটোয়া কলেজে কড়া পদক্ষেপ করল পরিচালন সমিতি, অন্যদিকে তেমন শিলিগুড়ি কলেজেও টাকা নিয়ে পরীক্ষায় পাস করানো থেকে নম্বর বাড়ানোর অভিযোগের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করেছে কর্তৃপক্ষ। সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অভিযুক্ত অধ্যাপক অমিতাভ কাঞ্জিলালকে। সত্য উদঘাটনে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। শিলিগুড়ি কলেজ কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, কলেজের কোনও বিষয়েই আর অভিযুক্ত অধ্যাপকের কোনও ভূমিকা থাকছে না। এমনকি কলেজের ওয়েবসাইট থেকেও বাদ পড়েছে অভিযুক্ত অধ্যাপকের নাম।
তদন্ত কমিটিকে এক মাসের মধ্যে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে কলেজে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এই ঘটনায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি শিলিগুড়ি কলেজ থেকেও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে। সোমবার শিলিগুড়ি কলেজে পরিচালন সমিতির বৈঠক শেষে এমনটাই জানান পরিচালন সমিতির সভাপতি জয়ন্ত কর । পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়া থেকে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া, সবটাই নাকি হয়ে যায় টাকার জেরে! এক ছাত্রীর সাথে অভিযুক্ত অধ্যাপকের এমন কথোপকথনই ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপরই তোলপাড় শুরু হয়ে যায় সব মহলে।
প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, অভিযুক্ত অধ্যাপকের পরিচয় নিয়ে। প্রথমটা অনুমান থাকলেও পরবর্তীতে ছাত্রীর লিখিত অভিযোগে অধ্যাপকের নাম পরিষ্কার হয়ে যায়। জানা যায়, অভিযুক্ত শিলিগুড়ি কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের অধ্যাপক ডক্টর অমিতাভ কাঞ্জিলাল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মাঠে নামে তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ থেকে শুরু করে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে তদন্তের আবেদন জানিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রঞ্জন সরকার। এরপর আজ অভিযুক্ত অধ্যাপকের শাস্তির দাবিতে তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ অবস্থান করে ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ডক্টর অমিতাভ কাঞ্জিলালের কুশপুতুল দাহ করা হয়।
অন্যদিকে পরিচালন সমিতির বৈঠক শেষে সভাপতি জয়ন্ত কর জানান, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবটাই করা হচ্ছে নিয়ম মেনে । অপাততভাবে তাঁকে সমস্ত দ্বায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এমনকি কলেজের ওয়েবসাইট থেকেও তাঁর নাম সরিয়ে দেওয়া হবে। বিভিন্ন অনলাইন ক্লাস থেকেও তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে । তিনি আরও জানান, এই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে শোকজ করে এই ঘটনার কারণ লিখিত আকারে জানতে চাওয়া হবে।
প্রথম দিনের মেট্রোয় মিশ্র অভিজ্ঞতা যাত্রীদের, সুবিধা না অসুবিধা, কোনটার পাল্লা বেশি ভারী?