Saumitra Khan: অযোগ্য কিছু নেতার জন্য খেসারত দিচ্ছে দল, ফের বিস্ফোরক সৌমিত্র, নিশানায় কারা?
বিজেপি সাংসদ বলেন, আগেও বলেছি বারবার কমিটি বদলের ফলে দল পেছনের দিকে হাঁটছে। মানুষ আমাদের চাইলেও কিছু অযোগ্য নেতৃত্বের জন্য আমাদের খেসারত দিতে হচ্ছে। ভোটের লড়াইয়ে নামার আগে বারবার তাই একথা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বলছি
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বিজেপির পর্যবেক্ষকের পদ থেকে সরে এসেছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তারপরই আজ এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'যেটা ঠিক সেটা ঠিক, যেটা ভুল সেটা ভুল। একথা আমি সর্বদা বলব। মোদীজি ও অমিত শাহকে দেখে রাজনীতি করতে এসেছি।' গতকাল দলের রাঢ় বাংলার পর্যবেক্ষকের পদ থেকে সরে আসার পর ফেসবুক পোস্টে কাদের নিশানা করলেন বিজেপি সাংসদ? সোশ্যাল মিডিয়ায় ও পোস্টের পর এনিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা তৈরি হয়েছে। এ ব্যাপারে সৌমিত্র খাঁ জি ২৪ ঘণ্টাকে বলেন, রাজনীতিতে লড়াই করতে হয়। জিততে হয়। সেই জিত সঙ্গে নিয়েই চলতে হয়। বাংলায় যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের দেখে তো আর বিজেপি করতে আসিনি! অমিত শাহ, মোদিজিকে দেখে বাংলায় বিজেপি করতে এসেছি। রাজ্যে শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষ ছাড়া বাকীরা রাজনীতিতে অনেক নেতাই জুনিয়র। তাই অযোগ্যদের মাথায় তুলে রাজনীতি করা খুবই কঠিন। চাপিয়ে দিলেই সবসময় সফলতা পাওয়া যায় না।
আরও পড়ুন- ক্লাইমেট অ্যাক্টিভিস্টই পরিবেশ মন্ত্রকের দায়িত্বে! সব চেয়ে কম বয়সী মন্ত্রীও...
কারা অযোগ্য নেতা? কাদেরকে দলের উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে? নিশানায় কি সুকান্ত মজুমদার? সৌমিত্র বলেন, যা মনে করবেন সেটাই। আসানসোলে আমরা ৩ লাখ ভোটে হেরেছি, মানিকতলা হলে ১ লাখ ভোটে হারব, প্রতিটি পুরসভাতে জামানত জব্দ হয়েছে। এসব নিয়ে ভাবা উচিত। প্রতি মাসে শুধু দলের কমিটি বদল করা হচ্ছে। এটা একেবারেই কাম্য নয়। একটা নেতা তৈরি করতে গেলে ১০-১২ বছর লেগে যায়। সেই নেতাকে সরিয়ে দিলে মানুষ ভালো চোখে নেয় না। রাজ্য মানুষ এখন বিজেপিকে চাইছে। কিন্তু বারবার নেতৃত্ব বদলের ফলে দলে ঘাটতির সৃষ্টি হচ্ছে। এনিয়ে বহুবার বলা হয়ে হয়েছে। বিজেপি ভালো জায়গাতেই থাকবে। কিন্তু অযোগ্যগদের নেতা করলে দলের ক্ষতি হচ্ছে। দুর্নীতির কথা তুলে তৃণমূল ছেড়েছিলাম। তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য মানুষ তৈরি। কিন্তু আমাদের নেতৃত্বের গাফিলতির জন্য আমরা পেছনের দিকে হাঁটছি।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার প্রস্তুতির জন্য এক একটা জোন ভাগ করা হল। এক একজন নেতারকে দায়িত্ব দেওয়া হল। এতে কতটা লাভ হবে? বিজেপি সাংসদ বলেন, আগেও বলেছি বারবার কমিটি বদলের ফলে দল পেছনের দিকে হাঁটছে। মানুষ আমাদের চাইলেও কিছু অযোগ্য নেতৃত্বের জন্য আমাদের খেসারত দিতে হচ্ছে। ভোটের লড়াইয়ে নামার আগে বারবার তাই একথা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বলছি। পঞ্চায়েত ভোটের ফল বের হওয়ার পর পর আর কোনও উপায় থাকবে না। জেতাটাই আসলে বড় কথা। আমি জেতাতেই বিশ্বাসী। বিজেপি কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোটাই এখন আমার কাজ। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে থেকে লড়াই করব। তাতে কী পদে থাকলাম সেটা বড় কথা নয়।